মহানগর ডেস্ক: শুরু থেকেই চলছিল জল্পনা। বিশেষ অধিবেশন ডেকে কী নিয়ে আলোচনা করতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তা নিয়ে তোপও দাগতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। কিন্তু আলোচ্যসূচি (Agenda Of Special Parliamentary Session) নিয়ে কিছুই খোলশা করছিল না কেন্দ্র, ফলে কৌতূহলের পাশাপাশি চিন্তার চওড়া ভাঁজ পড়েছিল বিরোধীদের কপালে। দেখা দিয়েছিল বিতর্কও। এবার সেই কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে বুধবার সন্ধ্যেয় কেন্দ্র জানাল আগামী সপ্তাহে বিশেষ অধিবেশনে সংসদের পঁচাত্তর বছরের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হবে। সেইসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ-সহ চারটি বিল পাস করা হবে।
লোকসভা সচিবালয়ের তরফে বুলেটিনে জানানো হয়েছে সেপ্টেম্বরের আঠেরো তারিখে সংবিধান সভা, সাফল্যের খতিয়ান থেকে অভিজ্ঞতা, স্মৃতি ও শিক্ষা-নিয়ে আলোচনা হবে। সেইসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ-সহ অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল, পোস্ট অফিস বিল, অ্যাডভোকেট বিল( সংশোধনী) এবং প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন (পিরিওডিক্যালস বিল) নিয়ে আলোচনার কথা জানানো হয়েছে বুলেটিনে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অধিবেশন ডাকার পরই বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম ইন্ডিয়া থেকে ভারত করা হতে পারে, এমন জল্পনা শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে জি টুয়েন্টি সম্মেলনে একাধিক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে ইন্ডিয়ার বদলে ভারত করার পরই দেশের নাম বদলের বিষয়টি নিয়ে চর্চার কেন্দ্রে উঠে আসে।
কেউ কেউ জানান সরকার এক দেশ, এক ভোট, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং মহিলা সংরক্ষণ নিয়ে বিল পেশ করতে পারে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি নিয়ে কিছু জানাতে অসম্মতি জানায়। তারা জানায় এটাই সংসদের সেরা রীতি। এরপর কংগ্রেস ও বিরোধী দলের বৈঠকের পরই সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে আলোচ্যসূচিতে মণিপুরে জাতিদাঙ্গা ও কুস্তিগিরদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ-সহ নটি বিষয় আলোচ্যসূচিতে রাখার কথা বলেন। আর সোনিয়ার এই চিঠির পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রের সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি-সহ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন সোনিয়ার চাপেই কেন্দ্র বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি জানিয়েছে।