HomeNationalচিড়িয়াখানায় গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু স্বামীর, শোকে আত্মঘাতী স্ত্রী

চিড়িয়াখানায় গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু স্বামীর, শোকে আত্মঘাতী স্ত্রী

- Advertisement -

মহানগর ডেস্কঃ পরিবারে এক মৃত্যু কাটতে না কাটতেই আরেক মৃত্যু। দু-আড়াই মাসের বিবাহজীবনের এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে   তা পরিবারের কেউ ভাবেনি । চিরিয়াখানাতে গিয়ে স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ মারা যান, স্বামীর মৃত্যু কষ্ট সহ্য করতে না পেরে স্ত্রীও আত্মহত্যা  করেছেন।

সোমবার দম্পতি ঠিক করে যে তাঁরা চিড়িয়াখানা ঘুরতে যাবেন। বছর ২৫এর অভিষেক অহলুওয়ালিয়ার ইচ্ছে হয় স্ত্রীকে নিয়ে চিড়িয়াখানা ঘুরতে বেরোবেন। পরিকল্পনা মতো সকালবেলায় স্ত্রী অঞ্জলিকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে যান ওই ব্যক্তি। চিড়িয়াখানায় দুজনে ঘুরছিলেন কিন্তু তার মধ্যেই হল ছন্দপতন। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ অভিষেক বুকে ব্যথা অনুভব করেন। স্বামীকে কষ্টে তড়পাতে দেখে স্ত্রী অঞ্জলি ঘাবড়ে যান । অঞ্জলি ভয়ে কি করবেন কিছু বুঝতে না পেরে বাধ্য হয়ে অভিষেকের বন্ধুদের ফোন করেন। তারপরই তড়িঘড়ি অভিষেককে প্রথমে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে যান অঞ্জলি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অভিষেককে সফদরজ‌ং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন ম়ৃত্যু হয়  অভিষেকের। সোমবার  গাজিয়াবাদে রাত ন’টা নাগাদ অভিষেকের দেহ এসে পৌঁছয় তাঁদের বসত বাড়িতে। অভিষেকের দেহ আঁকড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অঞ্জলি। দেহ আগলে ধরে বসে ছিলেন।  ঘুরতে গিয়ে স্বামীর এই অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী অঞ্জলি। শোক সামলাতে না পেরে , স্বামীর দেহ ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, তারপর অঞ্জলি আবাসনের মধ্যে ঢুকে পড়েন। তার পর সোজা হাঁটা লাগাতে শুরু করেন,দিয়ে সাত তলায় যান, তারপর সেখান থেকে নীচে ঝাঁপ দেন অঞ্জলি।

ঘটনা স্থলে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা অঞ্জলিকে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, মঙ্গলবার ভোরেই হাসপাতালেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় অঞ্জলির।  পরিবার সূত্রে খবর, গত বছর ৩০ নভেম্বর ঘটা করে জাঁকজমক করে অভিষেক এবং অঞ্জলির বিয়ে হয়েছিল। গাজিয়াবাদের আবাসনে তাঁরা দুজন থাকতেন। যখনই ছুটি থাকতো, ছুটির দিনগুলো প্রায়ই এদিক ওদিক ঘুরতে যেতে পছন্দ করতেন এই নব দম্পতি। দুজনে তাঁদের জীবনে খুবই হাসিখুশি ছিলেন। তাদের দুজনের হাসিখুশি জীবন দেখে তাঁদের দুজনের পরিবারের লোকজনরাও খুশি ছিলেন। কিন্তু এই খুশি আর বেশি দিন টিকলোনা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুই দম্পতির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুই পরিবারে। অভিষেকের আত্মীয়,ববিতা জানান, ‘‘অভিষেকের দেহ বাড়িতে আনার পরেই তাঁর পাশে বসে কাঁদছিল অঞ্জলি। তার পর হঠাৎ আবাসনের ভেতরে ঢুকে উপরে নিজের ফ্ল্যাটে চলে যায়। আমি বুঝতে পেরেছিলাম কিছু একটা করতে চাইছে। আমিও ওর সঙ্গে সঙ্গে যাই, কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারিনি। তাঁকে আটকানোর আগেই বারান্দা থেকে লাফ মারেন।’’

Most Popular