মহানগর ডেস্ক: রোষের মুখে গুজরাত সরকার। বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল গুজরাত সরকার। দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রশ্ন তুলল,সময়ের আগে কোন যুক্তিতে মুক্তি দেওয়া হল বিলকিসের ধর্ষকদের? অন্য বন্দিদের পরিবর্তে বেছে বেছে বিলকিসের ধর্ষককেরই কেন মুক্তি দেওয়া হল।এদিন শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্তে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে বলে।
সময়ের আগে, স্বাধীনতা দিবসে বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া, সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানানো নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। গুজরাত সরকারের পাশাপাশি,কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারও বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তিতে অনুমোদন দেওয়া নিয়ে সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছে।সেই নিয়ে আদালতে একের পর এক জনস্বার্থ মামলা জমা পড়ে।তেমনই একটি মামলার শুনানিতে দিন কয়েক আগেই গুজরাত সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত।
আরও পড়ুন: No Shadow Day: আজ নিজেদের ছায়া দেখতে পাবেন না এই শহরের মানুষেরা!
উল্লেখ্য, গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের পর গুজরাত জুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে ২০০২ সালে। সেই সময় বিলকিস ছিলেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।কোলের সন্তান এবং পরিবারের মোট ১৫ সদস্যের সঙ্গে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ৩ মার্চ ধূ ধূ জমি ঘিরে গজিয়ে ওঠা ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই সময় কাস্তে, তলোয়ার, লাঠি নিয়ে ২০-৩০ জনের দল তাঁদের উপর চড়াও হয়। গণধর্ষণের শিকার হন বিলকিস। বিলকিসের চোখের সামনে পরিবারের সাত সদস্যকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। খুন করা হয় বিলকিসের শিশু সন্তানকেও। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান ছ’জন।
বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং উজ্জ্বল ভুয়াঁর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল বৃহস্পতিবার।তাতে আদালত বলে, “ঘৃণ্য অপরাধ করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে যারা, ১৪ বছর পর তাদের সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য ১৪ বছর পর মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে সকলে। বাকি বন্দিদের ক্ষেত্রে কি এই নীতি কার্যকর করা হয়েছে? তা না হলে, বেছে বেছে এদেরকেই কেন এই বিশেষ সুুবিধা দেওয়া হল? ভুল সংশোধন, সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার সুযোগ তো সকলের প্রাপ্য! সেই সুযোগ কতজন পেয়েছেন? তাহলে জেলগুলি উপচে পড়ছে কেন? পরিসংখ্যান দেখান।”