Home Kolkata বিড়াল রাস্তা কাটলে দাঁড়িয়ে যান! কুসংস্কার নয়! জেনে নিন আসল কারণ।

বিড়াল রাস্তা কাটলে দাঁড়িয়ে যান! কুসংস্কার নয়! জেনে নিন আসল কারণ।

by Sushama
99 views

মহানগর ডেস্কঃ বিড়াল রাস্তা কাটলে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস এর ফলে নাকি যাত্রাপথে নেমে আসে দুর্ভোগ। কিন্তু এমন ভাবার পেছনে কি কারণ রয়েছে? এটা কি কোনো শাস্ত্রের বিধান নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনো যুক্তি!

পৃথিবীতে প্রত্যেকটি প্রাণের অস্তিত্ব টিকে থাকে কিছু বিশেষ কারণে। কিন্তু এই শীতের তীব্রতা মেখে ওই অবলা প্রাণগুলোর উপস্থিতি আদেও কি কোনো নিয়মের বেড়াজালে আঁটকে থাকতে পারে! বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয় বিড়াল আমাদের জীবনে অনেক প্রভাব সৃষ্টি করে। জানেন বাড়িতে বিড়াল আসাকে শুভ বলে মনে করা হয়। তবে বিড়ালের গায়ের রং ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় এর প্রভাবও আলাদা হয় বলে মনে করা হয়। বাস্ত শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়িতে যদি কোনো বাদামি রঙের বিড়াল আসে, তাহলে বিষয়টিকে শুভ বলে মনে করা হয়। বাদামি বিড়াল বাড়িতে সৌভাগ্য বয়ে আনে। কিন্তু কালো বিড়ালকে অশুভ বলে ধরা হয়। কালো বিড়াল কাঁদলে সেই বাড়িতে অঘটন ঘটে বলে মনে করা হয়। এটি বাড়ির মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ধরুন আপনি কোন শুভকাজে বেরোচ্ছেন। এমন সময় কোনো কালো বিড়াল পথ কাটল। এই বিষয়টাকে আমরা অত্যন্ত অশুভ ইঙ্গিত বলে মনে করি। একটু থেমে যায়, অপেক্ষা করি অনেকে আবার এই অশুভ গন্ডি খণ্ডাতে থুতু ফেলেন! একি শুধুই কুসংস্কার নাকি আছে সত্যিই কোনো লজিক।
বৈদিক জ্যোতিষ মতে রাহুর বহন হল বিড়াল। যেহেতু রাহুকে অশুভ বলে মনে করা হয়, তাই যাত্রাপথে যাতে কোনো সমস্যা না আসে তাই এটি আগাম সতর্কতার সূত্র হিসেবে মানা হয়। কারণ রাহুর প্রভাবে দূর্ঘটনার যোগ আসে জীবনে।

প্রাচীনকাল থেকে আজও একইভাবে বাস্তুশাস্ত্র আমাদের নানা তথ্য দিয়ে আসছে। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্ম এই প্রচলিত ধ্যানধারণা মানুষের জীবনে মিশে আছে। বাড়ির মধ্যে বিভিন্ন পশু পাখির আগমন নিয়েও আলোচনা আছে বাস্তুশাস্ত্রে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যাতে কোনোভাবেই সুখ সঞ্চারে ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় তার জন্যই থাকে বেশ কিছু বিধান। কারণ সাবধানের কোনো মার থাকে না।

Disclaimer – সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি তথ্যর ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে । এসব যুক্তির সম্পূর্ণ ফলাফল আমরা দাবি করি না ।

You may also like

Mahanagar bengali news

Copyright (C) Mahanagar24X7 2024 All Rights Reserved