মহানগর ডেস্ক: যখন বাড়ির লোকেরা পরিবারের অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েদর জাঙ্ক ফুড আর মিষ্টি পানীয় খেতে পইপই করে বারণ করেন, ঠিক তখনই ভিয়েতনামের পঁচাত্তর বছরের এক বৃদ্ধার সারাদিনের খাবার জানলে সবারই যাবতীয় ধারণা তালগোল পাকিয়ে যেতে বাধ্য। কারণ তিনি সারাদিনে শুধু জল আর ঠান্ডা পানীয় খেয়েই দিন কাটিয়ে যাচ্ছেন। যাঁরা ডায়েট নিয়ে বিস্তর মাথা ঘামান,তাঁদের কাছে ভিয়েতনামের বৃদ্ধার সারাদিনের ডায়েট ঘাবড়ে দিতে বাধ্য। এই আশ্চর্য বৃদ্ধা ভিয়েতনামের কুয়াং বিন প্রভিন্সের বৃদ্ধা। তাঁর নাম বুই থাই লোই। তাঁর এমন অদ্ভুতুরে ডায়েট বহু মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
আপনি পিৎজা বা পানিপুরি খাওয়ার জন্য মনে মনে ছটফট করে থাকেন কিন্তু ভিয়েতনামের এই বৃদ্ধা ওসব একবার ছুঁয়ে দেখতে চান না। কিন্তু তাঁর অদ্ভুতুরে ডায়েট কবে থেকে শুরু হল,তা নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে। সালটি ছিল ১৯৬৩। সেবছরই তিনি সলিড খাবারকে চিরদিনের মতো টাটা বাই বাই করে দেন। তখন থেকে ডায়েট হিসেবে জল আর নরম পানীয়কে বেছে নেন। অর্ধেক দশক ধরে তিনি তাঁর এই অদ্ভুতুরে ডায়েটের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন বুই। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সে বছর থেকেই তাঁর কাছে সলিড খাবারের গন্ধ অসহ্য হয়ে ওঠে। গন্ধে তাঁর গা গুলিয়ে উঠতে থাকে। ফলে সলিড খাবার পুরোপুরি বর্জন করেন তিনি। বুইয়ের ফ্রিজে ঠাসা রয়েছে খাবারের বদলে জলের বোতল আর নরম পানীয়। তাঁর অদ্ভুত ডায়েট শুরুর পেছনে একটা ঘটনা রয়েছে। জানালেন পঞ্চাশ বছর আগে বজ্রপাতে তাঁর সংজ্ঞা হারিয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পর থেকে তিনি আর সলিড খাবার মুখে দিতে পারেননি। জল আর নরম পানীয় খাওয়া শুরু করেন। তারপর সেটাই তাঁর প্রতিদিনের ডায়েট হয়ে দাঁড়ায়।
.