মহানগর ডেস্ক : কুণাল ঘোষ কী তৃণমূল ছাড়ছেন? বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে নিজের তৃণমূল মুখপাত্র পরিচয় সরিয়ে সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী হিসাবে নিজের পরিচয় প্রকাশ করলেন কুণাল। এটা কী কুণালের তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত না কি কুণাল ঘোষের চমক? এই বিষয়টি আসলে যাই হোক রাজনৈতিক মহলে জল্পনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুণাল ঘোষ শুক্রবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি এমন পোস্ট করেছেন যাতে তাঁর দলের প্রতি ক্ষোভ ফুটে উঠেছে।
কুণাল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শুক্রবার লিখেছেন, “নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, @AITCofficial দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।”
এছাড়াও এবিপি আনন্দ-র এক সাংবাদিকের বাড়িতে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের বিশাল বাহিনীর সার্চ অপারেশনের সমালোচনা করে শুক্রবারই বলেছিলেন, “আমার সঙ্গেও পুলিশ এরকম আচরণ করেছে।” কুণাল তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন, পুলিশ যা করছে সেটা ঠিক করছে না। এমন কী রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে রাজীব কুমারের ফের যোগ দেওয়ার পরও কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছিলেন, দেখবেন আবার কারও কথায় কোনও নির্দোষকে গ্রেফতার করবেন না, যেটা আমার সঙ্গে হয়েছিল।
দলের মুখপাত্র হিসাবে কুণাল ঘোষ দলের হয়ে শেখ শাহজাহানকাণ্ড থেকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া, শুভেন্দুর সমালোচনা, মোদীকে আক্রমণ সবই করছেন কিন্তু পাশাপাশি দলের যে সমস্ত কাজ তাঁর ভালো লাগছে না তা নিয়েও ব্যক্তিগতভাবে সরব হচ্ছেন। শুক্রবার তিনি যে “নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক….” ইত্যাদি বিষয় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তা যে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করেই সেটা পরিস্কার। তবে দল কুণালের এই আচরণকে, অবস্থানকে মান্যতা দিয়েছে কি না সেটা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে কুণাল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে নিজের তৃণমূল মুখপাত্র পরিচয় সরিয়ে ফেলার পর।
সম্প্রতি একটি বাংলা টিভি চ্যানেলের বিতর্ক সভায় কুণাল ঘোষ এক জনপ্রিয় বিজেপি নেত্রীকে নির্লজ্জ বেহায়য়া বলে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। তাঁর দল এই কাজকে কি মান্যতা দেয়নি? নিজের এক্স হ্যান্তেল থেকে তৃণমূল মুখপাত্র পরিচয় সরিয়ে ফেলার পর এই নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কুণাল ঘোষ এই বিষয় নিয়ে মুখ খোলেননি।
Kunal Ghosh, TMC Spokesman