CPM
উস্কাানির অভিযোগে সন্দেশখালিতে আটক সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার , বিক্ষোভ বাঁশদ্রোণী থানায়
মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালির জনতার অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেশখালি থানার পুলিশ এলাকার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । সন্দেশখালির ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নিরাপদ সর্দারকে। শিবু হাজরার করা এফআইআর-এর প্রথম নাম ছিল নিরাপদ সর্দারের। তৃণমূল সন্দেশখালির জনরোষের ঘটনাকে প্রথম দিন থেকেই সিপিএম, বিজেপির ইন্ধন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতারের ঘটনা প্রমাণ করছে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনেই এই গ্রেফতারি হয়েছে, এমনটাই বিরোধীদের অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্দেশখালি এবং বাঁশদ্রোণী থানা যৌথ ভাবে নিরাপদ সর্দারকে আটক করে। তার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশদ্রোণী থানায়। তাঁর আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন বাম কর্মীসমর্থকেরা। তাঁরা হাতে সিপিএমের ঝান্ডা নিয়ে বাঁশদ্রোণী থানায় গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন, বিক্ষোভ দেখান।
সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার-সহ ১১৭ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ ওরফে শিবু হাজরাকে খুনের চেষ্টা, উস্কানি দেওয়া, বেআইনি জমায়েত করে অপরাধ সংগঠিত করা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের বিক্ষোভে অংশ নিতে বলা, অশান্তি সৃষ্টিতে প্ররোচনা দেওয়া এবং সর্বোপরি বিক্ষোভ করে পুলিশকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে নিরাপদর বিরুদ্ধে।
তমলুকের সমবায় নির্বাচনে ফের তৃণমূলের জয়! হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে হার বাম-বিজেপির
মহানগর ডেস্ক: আবারও তমলুকের সমবায় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূল। দলের কর্মী-সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়লেন। শাসকদলের দাবি,লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করবে। ধলহরা খণ্ডগ্রাম কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের অন্তর্গত। যার আসন সংখ্যা ৪৬। ভোটার সংখ্যা প্রায় ২২৪৮। তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের অধীনে একেবারে প্রথম সারিতে থাকা এই সমবায় সমিতিটি দীর্ঘদিন ধরেই ডানপন্থীদের দখলে রয়েছে।এই সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল বুধবার। যেখানে তৃণমূল ও বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, সিপিএম সমর্থিত-সহ প্রায় ১১৬ জন প্রার্থী।
একাধিক আসনে শাসকদলেরই দুই গোষ্ঠীর দাপুটে নেতারা প্রার্থী হওয়ায় তার মধ্যে আবার গন্ডগোলের আশঙ্কা ছিল।নির্বাচন শুরু হয় টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে। তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থিত প্রতিনিধিরা ভোটের আগে দুটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল।হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় ৪৪ টি আসনের মধ্যেই। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল ৩০টি আসনে জয়ী তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে বিজেপি ১০টি এবং নির্দল পেয়েছে ৬টি আসন।
এই বিষয়ে ওই ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব জানা বলেন, “রাম-বামের রামধনু জোটকে পরাস্ত করে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়েছে তৃণমূল। আগামিদিনে এই ফলাফল কর্মীদের মনোবল অনেকটাই চাঙ্গা করবে।” আরও একধাপ এগিয়ে এই ব্লকের তৃণমূলের যুব সভাপতি সুমিত সামন্ত বলেন, “সাময়িক ধাক্কা কাটিয়ে তৃণ,A,মূল কংগ্রেস আবারও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ঘুরে দাঁড়াবেই। এদিনের সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলাফল তারই ইঙ্গিত দিয়েছে।”