- Advertisement -
মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালি নিয়ে উত্তাপ কিছুটেই কমছে না। এবার এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করার জন্য আইএসএফ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালি যাওয়ার পথেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নওশাদ সিদ্দিকীকে সায়েন্স সিটির কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নওশাদকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে লালবাজারে। সন্দেশখালি থেকে ৬২ কিলোমিটার দূর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে। নওশাদ সিদ্দিকী দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে ৪ জন ছিলেন না তা সত্বেও তাঁকে গ্রেদফতার করা হয়েছে। সায়েন্স সিটির সামনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করেছে বলে কারও জানা নেই। তাহলে কেন নওশাদকে পুলিশ সায়েন্স সিটির সামনো থেকে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করল, এই প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেছেন, “রাজ্যে স্বৈরাচারী সরকার চলছে।” পুলিশ তাঁর সঙ্গে যে আচরণ করেছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে নওশাদ বলেন, “একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কোনও পুলিশ আধিকারিক এভাবে কথা বলতে পারেন না, যা আমার সঙ্গে করা হচ্ছে।”
মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। যাওয়ার পথে কলকাতার সায়েন্স সিটির কাছে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন আইএসএফ বিধায়ক। নওশাদকে গ্রেফতারের পিছনে পুলিশের দাবি, ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করেছেন নওশাদ, তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করার সময় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক। নওশাদের পাল্টা দাবি, তিনি কোথাও জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেননি। এমনকি পুলিশের ব্যারিকেডও ভাঙেননি তিনি। তা হলে কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হল, সেই প্রশ্নই পুলিশকে করেছিলেন নওশাদ। এদিকে নওশাদের দাবি করেন, মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালির পাশাপাশি বাসন্তী যাওয়ারও তাঁর পরিকল্পনা ছিল। সায়েন্স সিটির কাছে তিনি পৌঁছনোর পর সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তার পরেই পুলিশ আচমকাই তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশ পরে নওশাদকে জানায়, তিনি সন্দেশখালি গেলে সমস্যা হতে পারে, তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তার পর প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নওশাদকে। নওশাদ বলেন, ‘‘পুলিশ চাটুকারিতা করছে। এখানে ১৪৪ ধারা নেই, আমি কোনও ব্যারিকেডও ভাঙিনি। তা সত্ত্বেও আমাকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হল।’’
এদিকে নওশাদের গ্রেফতারির সমালোচনায় সরব হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। কোনও আইনের শাসন রাজ্যে আর নেই।” বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সায়েন্স সিটির সামনে শুভেন্দু অধিকারীকেও পুলিশ আটকেছিল। আটকে দেওয়া হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারকে। আসলে তৃণমূূল সরকার চাইছে না কেউ সন্দেশখালি যাক, তাহলেই তৃণমূলের প্রকৃত রূপ নজরে পড়ে যাবে যে!” তবে সন্দেশখালির থেকে ৬২ কিলোমিটাট দূরে সায়েন্স সিটির সামনে ১৪৪ ধারার কারণ দেখিয়ে কি ভাবে নওশাদকে গ্রেফতার করা হতে পারে তা কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না।