মহানগর ডেস্ক : শুক্রবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট। সেই সব কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই প্রচার শেষ হয়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলিতে এবার প্রচার চলছে পুরোদমে। আজ বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই জনসভা থেকে কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করলেন।
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বদল নিয়ে কটাক্ষ করলেন মমতা। তিনি বলেন, “কেন মেদিনীপুরে প্রার্থী বদল করা হল? কাকের বাসায় কোকিল ডিম পাড়ে, বড় হলে চলে যায়। আপনারা কেন আগের প্রার্থীকে না দিয়ে অন্য একজনকে নিয়ে এলেন? তাঁর গুণগান আমি করতে চাই না, কারণ আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই না। নাহলে প্রশ্ন তুলতে পারতাম।”
এদিন মমতা বলেন, “আগেরবার সিটটা হেরেছিলাম। এবার সিটটা দেবেন তো?” বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া সহ একাধিক রাজ্যের মানুষদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি যে তাঁর সরকার পূরণ করেছে, এ কথাও মঞ্চে দাঁড়িয়ে উল্লেখ করেন মমতা।
মমতা এদিন মেদিনীপুরের জনসভা থেকে বলেন, “বিজেপিকে ভোট দেবেন না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনবার দেখা করলাম। অফিসারদের মধ্যে মিটিংও হল। কিচ্ছু হল না। বিজেপি নেতারা বলে দিচ্ছে, বাংলায় রাস্তার টাকা দেবে না, আবাস যোজনার টাকা দেবে না। ওরা ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করেছে। দেঙ্গে… দেঙ্গে বলতে বলতে ভোট পার হয়ে গেল।”
এরপর মমতা বলেন, “আমরা চাই না কেন্দ্রের দয়া। ১০০ দিনের কাজ আমরাই করব। ৫০ দিন কাজ দেবো। কেউ চাইলে ৬০ দিন কাজ করতেও পারবেন। ১১ লক্ষ বাড়ির তালিকা কেন্দ্রে পাঠালাম। কিছু বলল না। এখন বিজেপির পোর্টাল থেকে ওই তালিকা থেকে নাম, ফোন নাম্বার জেনে ফোন করে বলছে বাড়ির জন্য আবার নাম লেখাতে। আমি বলছি, কেউ বিজেপির পোর্টাল থেকে করা ফোনে নাম লেখাবেন না। আমরা ডিসেম্বরে টাকা দেবো।”
কেন সাত দফায় রাজ্যে ভোট হচ্ছে তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন। সভার শুরুতেই সবাইকে গরমে সুস্থ থাকার পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথা ঢেকে রাখা, লেবু জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। মমতা বলেন, গত ৩১ মার্চ থেকে প্রচার শুরু করেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর হেলিকপ্টারও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি জীবনে দেখিনি, তিন মাস ধরে ভোট হতে। অনেক জায়গায় প্রথম দফায় ভোট হয়ে গিয়েছে। বিহারে আর গুজরাটে বাকি রেখেছে দেখানোর জন্য। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব কোন কোন রাজ্যে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়েছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তীব্র দাবদাহে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জুল মালিয়ার হয়ে প্রচার করেন। রাজ্য সরকার সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্যে থেকেও রাজ্যের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে অন্যদিকে বিজেপির সাংসদরা বাংলাকে বঞ্চিত করার জন্য কেন্দ্রের কাছে চিখি লিখছে, ওরা চায় বাংলাকে নিঃশেষ করে মারতে, এটাই ছিল দাঁতনে বৃহস্পতিবার জুন মালিয়ার সমর্থনে মমতার ভাষণের নির্জাস।