মহানগর ডেস্ক: ছেলেপুলের সংখ্যা একশো দুজন (Man Has 102 Child)। নাতি নাতনি পাঁচশো আটাত্তরজন। স্ত্রীর সংখ্যা ১২। দৈর্ঘ্যে প্রস্তে বিশাল মানতেই হবে। এত ছেলেপুলে প্রথম ও শেষ সন্তানের নাম ছাড়া আর কোনও সন্তানের নাম মনে করতে পারেন না। বাকিদের নাম মনে করতে পারেন না এই মহাঊর্বর মানুষটি। আফ্রিকার উগান্ডার (Uganda) মুসা হাসাহয়া কাসেরা অবশ্য কবুল করেছেন তিনি কোনওদিন জন্ম নিরোধক (Contraceptive Pill) ব্যবহার করেননি।
তবে এখন তাঁর স্ত্রীরা জন্ম নিরোধক ব্যবহার করছেন যাতে কোনও শিশুর জন্ম না হয়। কাসেরা জানিয়েছেন তাঁর সংখ্যাটা একটু বেশিই হয়ে গিয়েছে। তাদের নিয়ে তিনি রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। প্রথম বিয়ের কথা বেমালুম ভুলেও গিয়েছেন। তাঁর যতদূর মনে পড়ে প্রথম বিয়ে হয়েছিল ১৯৭২ সালে। দুজনেরই বয়েস ছিল সতেরো। এক বছর পর প্রথম সন্তানের জন্ম হয়।
ভাই,দাদা, আত্মীয়, বন্ধুরা বুঝিয়েছিল অনেকগুলো বিয়ে করতে যাতে পরিবারের পরিধি বাড়ে। শত সন্তানের জনক কাসেরা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন প্রথমে ব্যাপারটা মজা হিসেবে ছিল কিন্তু এখন সেটা মহাসমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরীরও খারাপ হতে শুরু করেছে, এত বিশাল পরিবারের জন্য মাত্র দু একর জমি পড়ে রয়েছে। খাবার, শিক্ষা ও জামা কাপড় দিতে না পারায় দুজন স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
যে কজন স্ত্রী রয়েছেন তাঁরা কনট্রাসেপটিভ ব্যবহার করেন। তিনি অবশ্য করেন না। তবে কাসেরা আর সন্তান চান না। কারণ এতগুলো সন্তানের জন্ম দিয়ে তাদের মুখে অন্ন তুলে দিতে না পারার জ্বালা তিনি কিছুতেই ভুলতে পারেন না। এই মুহূর্তে অবশ্য তাঁর হাতে কোনও কাজ নেই। তবে বুগিসা গ্রামে তিনি এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের বস্তু হয়ে উঠেছেন।
উগান্ডায় বহুগামিতা আইন স্বীকৃত। চাইলে কোনও পুরুষ একাধিক বিয়ে করতে পারে। দেশের বহু জায়গায় বহুগামিতা ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। প্রাচীন আমল থেকে এই প্রথা চলে আসছে। তবে গ্রামগুলিতে এই প্রথা থাকলেও শহর এলাকাগুলিতে সংখ্যা কমে গিয়েছে। ২০১৪ সালের জনগণনার তথ্য থেকে জানা গিয়েছে উগান্ডায় ৮. আঠেরো বা আঠেরো বছরের সমস্ত মহিলা বহুগামী সম্পর্কে জড়িত বা বহুগামী সম্পর্কে থেকে সহবাস করেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে শতাংশের হার ৭.১।