বিক্রম ব্যানার্জী: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে টাকা ছাড়া জীবন অচল, এ কথা বুঝে গিয়েছেন আট থেকে আশি সকলেই। তবে দৈনন্দিন জীবনে লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কাগজের কড়কড়ে নোট মোটামুটি সকলের পকেটে থাকলেও তার প্রচলন সম্পর্কে খুব কম লোকই অভিহিত। তবে শুরুর দিকে কিন্তু বিভিন্ন ধাতুর মুদ্রার চল ছিল। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে চালু হয় কাগজের মুদ্রা। আর প্রশ্ন এখানেই। প্রথম কোন দেশে কাগজের মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়? বাস্তবে এই প্রশ্ন খুব কম উঠলেও আদতে তার উত্তর সম্পর্কে জানা নেই সিংহভাগেরই। রইল বিস্তারিত।
কাগজের মুদ্রার অগ্রদূত ‘ফ্লাইং মানি’
দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত কাগজের নোটের প্রথম অগ্রদূত কিন্তু ফ্লাইং মানি। শব্দটির সাথে খুব একটা পরিচিত নন কেউই। বলা বাহুল্য, 618 থেকে 907 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চিনের তাং সাম্রাজ্যের ধনী ব্যক্তি তথা বণিক সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রথম এই ফ্লাইং মানির ব্যবহার শুরু করে। যদিও সাধারণ মানুষেরা এই মুদ্রা ব্যবহার করতে পারতেন না। তবে সরকারি কর্মীদের কাছে এই মুদ্রা ব্যবহারের অধিকার ছিল। তবে এগুলির ব্যবহার করা যেত শুধুমাত্র সরকারি লেনদেনের ক্ষেত্রেই। আসলে ফ্লাইং মানি নামক মুদ্রা ব্যবহার করে সরাসরি কোনও লেনদেন করা যেত না। এগুলি খানিকটা ব্যাঙ্কের ড্রাফট মানি বা রশিদের মতো। যা দেখিয়ে পরবর্তীতে অর্থ ভাঙিয়ে নেওয়া যায়।
দৈনন্দিন লেনদেনের জন্য চালু হয় কাগজের মুদ্রা, কিন্তু প্রথম কোন দেশে?
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম কাগজের মুদ্রা বা নোট চালু হয়েছিল চিনে। সং সাম্রাজ্যের শাসনকালে প্রথম কাগজের তৈরি মুদ্রা সরাসরি লেনদেনের প্রথা চালু হয়। যদিও সিচুয়ান প্রদেশের একদল বণিকের হাতেই এই মুদ্রার জন্ম। প্রথম প্রথম চিনে কাগজের মুদ্রার জনপ্রিয়তা শিখরে পৌঁছালেও পরবর্তীতে মুদ্রাস্ফীতির কারণে তা বাজার হারায়। বলে রাখা ভাল, চিনে প্রচলিত এই কাগজের মুদ্রা গুলির নাম রাখা হয়েছিল জিয়াওজি। পরবর্তীকালে যার জায়গা দখল করে হুইজি নামক কাগজের তৈরি আরেক মুদ্রা।
আরও পড়ুন: কাঁচা মাছ চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছেন এক ব্যক্তি, ভিডিও দেখে কপালে হাত সকলের