মহানগর ডেস্ক: এমন রক্তহিম করা ঘটনা কেউ কোনওদিন শুনেছেন কিনা, জানা নেই। নরখাদকদের সম্পর্কে আমরা কিছু কিছু জানি। কোনও কোনও আদিম উপজাতি নরমাংস খেয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ, একটু সভ্য সমাজে এ ধরণের ঘটনা শোনাই যায় না। আফ্রিকার নাইজেরিয়ার আনাব্রায় একটি রেস্তোরাঁয় খেতে আসা ক্রেতাদের প্লেটে দেওয়া হচ্ছে মানুষের মাংস (Restaurant Served Human Flesh)!
বিবিসি নিউজ সোয়াহিলির খবর অনুযায়ী, ওই রেস্তোরাঁয় আসা লোকেরা পুলিশকে খবর দেয় সেখানে নাকি ক্রেতাদের মানুষের মাংস খেতে দেওয়া হয়, এমন গুজব শোনা যাচ্ছে। বিবিসির ভিডিও থেকে জানা যায় খবর পেয়ে পুলিশ সেই রেস্তোরাঁয় হানা দিয়ে রীতিমতো আঁতকে ওঠে। তারা সেখানে গিয়ে দেখতে পায় টাটকা মানুষের মুণ্ডু রাখা রয়েছে। কাটা মুণ্ডু থেকে টপটপ করে রক্ত পড়ছে। রেস্তোরাঁর পেছনে কাটা মুণ্ডুগুলো রাখা। ক্রেতাদের মানুষের মাংস দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে পুলিশের অফিসাররা বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও মোবাইল ফোন দেখতে পান।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন রেস্তোরাঁর লোকেরা কখনও পরিষ্কার পোশাক পরে না। অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে তারা রেস্তোরার ভেতরে ও বাইরে যাতায়াত করে থাকে। তবে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনায় তিনি কোনওভাবেই চমকাননি। ২০১৫ সালে এক ব্যক্তি ওই রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন। খাওয়ার পরে তাঁকে বিপুল অঙ্কের বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর যতটুকু মনে আছে তাতে তিনি আধো আধো বুঝতে পেরেছিলেন তাঁকে মানুষের মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য বিরাট অঙ্কের বিল ধরানো হয়েছিল। পুলিশ নর মাংস বিক্রি করার অপরাধে দশজনকে গ্রেফতার করেছিল বলে জানা গিয়েছে।
সভ্য সমাজে এ ধরণের ঘটনা মেনে না নেওয়া গেলেও নাইজেরিয়ার ওই ভয়ঙ্কর রেস্তোরাঁয় মানুষের মাংস ক্রেতাদের দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সে কথা মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। যদিও তারপরে আর সেরকম ঘটনা জানা যায়নি। আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে বিহারের প্রত্যন্ত এলাকায় হোটেলে খেতে গিয়ে খাবারে নখ পাওয়া গিয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে হোটেলে আসা অতিথিদের খুন করে তাঁদের মাংস রান্নায় মেশানো হতো। দৈবাৎ ধরা পড়ায় পুরো পর্দাফাঁস হয়ে যায়।