HomeWorldSchizophrenia: কেউ সিৎসোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত কিনা, বুঝবেন কি করে

Schizophrenia: কেউ সিৎসোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত কিনা, বুঝবেন কি করে

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: সিৎসোফ্রেনিয়া(Schizophrenia) সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত। তবে সচরাচর এধরণের ঘটনা বেশি না ঘটায় আমাদের এ নিয়ে তেমন একটা ধারণা নেই। সিৎসোফ্রেনিয়া আসলে এক ধরণের মানসিক বিশৃঙ্খলা,যা বিভ্রম, (Delusion) হ্যালিউসিনেশন (Hallucinations), এলোমেলো চিন্তা, কথাবার্তা ও আচরণে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে থাকে। সিৎসোফ্রেনিয়ার লক্ষণ বা উপসর্গ একেক জনের ওপর একরকমভাবে দেখা যায়।

এরমধ্যে রয়েছে মানসিক বিশৃঙ্খলা, হ্যালিউশিনসন ও চিন্তাভাবনার মধ্যে এলোমেলোভাব দেখা যায়। এর সঠিক কারণটা এখনও পুরোপুরি বোঝা যায় না। এর কারণ জিনগত ও পরিবেশগত বলে মনে করা হয়। সিৎসোফ্রনিয়া নির্ণয় করা হয়ে থাকে ক্যারেক্টারিস্টিক ক্লিনিকাল পিকচারের মাধ্যমে।

এই মানসিক বিশৃঙ্খলার জন্য কোনও ডায়গোনস্টিক পরীক্ষা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা এতে আক্রান্ত হওয়ার আগে জিনগত ও রোগীর নানা মানসিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট সমীক্ষা করে থাকেন। এবং এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করে একটি ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সিৎসোফ্রেনিয়া চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসাযোগ্য।

 পেশাদার চিকিৎসকরা এটি নির্ণয় করে থাকেন। রোগের চিকিৎসায় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা বা ইমেজ টেস্ট করা হয়ে থাকে। সাধারণত ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে এই মানসিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়। পারিবারিক ইতিহাস এর সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে থাকে।

পরিস্থিতি গুরুতর হলে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন। এই ধরণের পরিস্থিতি আত্মহত্যার প্রবণতাকে বাড়িয়ে তোলে। সাইকোসিস যেমন হ্যালিউসিনেশন, মানসিক বিশৃঙ্খলা ও এলোমেলো ভাবনার লক্ষণ দূর করতে যেসব ওষুধ ব্যবহার করে হয়ে থাকে, সেইসব ওষুধই ব্যবহার করা হয়। এই লক্ষণ থেকে রেহাই পেতে সাইকোএডুকেশন বা কগনিটিভ থেরাপি আক্রান্তদের সুস্থভাবে সমাজে মেশার পক্ষে সহায়তা করে থাকে।

আক্রান্তদের ইলেক্ট্রোকনক্লুসিভ থেরাপি ( ইসিটি) যেমন অল্প ইলেকট্রিক শক মস্তিষ্কে পাঠিয়ে নিউরোট্রান্সমিটারের স্তরের পরিবর্তন ঘটানো হয়ে থাকে। পারিবারিক কাউন্সেলিং খুবই জরুরি। এতে দোষ বা অপরাধ বোধের মাত্রা হ্রাস করে আক্রান্তের ওপর চাপ কমিয়ে থাকে।

Most Popular