HomeWorldSpiritual Leader Claims To Multiply Money: টাকা হবে বহুগুণ, আধ্যাত্মিক গুরুর ভেলকিবাজি!

Spiritual Leader Claims To Multiply Money: টাকা হবে বহুগুণ, আধ্যাত্মিক গুরুর ভেলকিবাজি!

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: তাঁর  হাতে  আছে অদৃশ্য সোনার কাঠি। সে কাঠির ছোঁয়ায় চোখের নিমেষে টাকা বহুগুণ হয়ে যাবে (Spiritual Leader Claims To Multiply Money)। ইনি কোনও সুপার পাওয়ার নন। ইনি ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার প্রোবোলিঙ্গোর (East Java) এক আধ্যাত্মিক নেতা ডিমাস কাজেং। তাঁর এমন অত্যাশ্চর্য দাবির পরে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসতেন পরশ পাথরের খোঁজে।

শুধু সাধারণ মানুষই নন। উচ্চপদস্থ কর্তা ব্যক্তিরাও ছিলেন। ডিমাসের প্রতিটি জমায়েতেই হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসতেন, এমনটাই জানিয়েছেন সেদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও আইনজীবী মহম্মদ আলি। ডিমাসের আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তায় তাঁর ভক্তের সংখ্যা আনুমানিক ২৩.০০০ বলে জানিয়েছেন আলি।

আইনজীবী জানিয়েছেন ওই আধ্যাত্মিক নেতার গ্ল্যামার, মানুষকে সম্মোহিত করা এবং কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা ছিল চমকে দেওয়ার মতো। তিনি এমনি কোনও যেকোনও ব্যক্তিত্বের চেয়েও অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিলেন। ডিমাস যদিও তাঁর আসল নাম নয়। আসল নাম টাট প্রিবাডি। দাবি করতেন টাকা তিনি বহুগুণ করার ক্ষমতা রাখেন।

তাঁকে যাঁরা দেখতে আসতেন তাঁদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলার ক্ষমতা ছিল তাঁর। ২০০৯ সাল থেকে এই আধ্যাত্মিক গুরুর তথাকথিত চমকে দেওয়া ক্ষমতার কথা গোটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল। ২০১২ সালে ডিমাস তাঁর ফাউন্ডেশন সরকারিভাবে নথিভুক্ত করেন। তারপর বড় রকমের ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভক্তদের বিশাল টাকা. সম্পত্তি সংগ্রহ করতে শুরু করেন।

২০১৪ সালের শুরুতে ব্যবসায়ী ও আইনজীবী ৩৫ বিলিয়ন রুপিয়া তাঁর হাতে তুলে দেন। তাঁর মতো কয়েক হাজার মানুষও ডিমাসকে সেসময় টাকা দেন। তারপর থেকেই ওই আধ্যাত্মিক গুরুর কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। সেসময়ে তাঁর ফাউন্ডেশনের দুজন নেতার দেহের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁদের চিহ্নিতও করে পুলিশ। তারপর প্রতারণার পর্দা ফাঁস হওয়ার পর তাঁর জেল হয়।

তবে আজকেও তাঁর ভক্তদের কেউ তাঁর প্রতি অনুগত রয়ে গিয়েছেন। একবার এক সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ফাউন্ডেশনের তরফে। ক্যাম্পাসে প্রচণ্ড কড়াকড়ি ছিল। ওই সাংবাদিক অবশ্য জানিয়েছিলেন তিনি টাকা বহুগুণ হতে দেখেছিলেন। ডিমাস তাঁকে লিভিং রুমে নিয়ে যান। সেখানে তিনি পঞ্চাশ মিলিয়ন রুপিয়াকে একশো মিলিয়নে রূপান্তরিত হতে দেখেছিলেন।

ফয়সল ডিমাসকে জিজ্ঞেস করেছিলেন এই ক্ষমতা তিনি কীভাবে পেয়েছেন, জবাবে আধ্যাত্মিক গুরু জানিয়েছিলেন তিনি পাহাড়ে যখন ধ্যান করতেন,তখন ধ্যানের মাধ্যমে এই শক্তি অর্জন করেছিলেন। আরেক স্থানীয় সাংবাদিকও জানিয়েছিলেন ডিমাস রোগও সারাতেন। রোগীদের তাঁর বেঁধে দেওয়া নিয়ম মানতে হতো। কিছু ধর্মীয় আচার  অবশ্যই পালন করতে হতো। স্থানীয় এই সাংবাদিক তিনবার ডিমাসের ফাউন্ডেশনে গিয়েছিলেন। তাঁর চৌম্বক ক্ষমতা তাঁকে ভীষণভাবে চমকে দিয়েছিল।

Most Popular