মহানগর ডেস্ক : দিল্লি-সহ উত্তর ভারত,কাশ্মীর,পঞ্জাবে কনকনে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় যখন সবাই জমে পাথর, মাইনাস এক বা দুয়েতেই কাবু, তখন এই পৃথিবীতেই একটি শহরে তখন তাপমাত্রা মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রি (মাইনাস আটন্ন ডিগ্রি ফারেনহাই়ট)। সঙ্গে হাড় কাঁপিয়ে দেওয়া বরফ মেশা শৈত্যপ্রবাহ।
নিশ্চয় চমকে উঠেছেন এমন খবর শুনে। শুনে নিন এই পৃথিবীতেই এমন শহর রয়েছে যেখানে জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা নামতে নামতে পঞ্চাশ ডিগ্রিতে পৌঁছয়। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইয়াকুটস্ক। এই খনি শহরের বাসিন্দারা রোজই ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাপমাত্রা চল্লিশের নীচে নেমে গিয়েছে। এমন ভয়ঙ্কর ঠান্ডাকে কব্জায় রাখা যে সহজ নয়, সেটা বলে দিতে হয় না।
এখানকার বাসিন্দারা একটা নয়, একের পর এক শীতের ভারী পোশাক চাপিয়ে থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস একজনের পক্ষে এই ভয়ঙ্কর ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব নয়। শীতলতম শহরের বাসিন্দা আনাস্তাসিয়া গ্রুজদেভা জানিয়েছেন কারো পক্ষেই এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। তিনি নিজে পরেছেন দুটি স্কার্ফ, দু জোড়া গ্রাভস, একাধিক মোটা টুপি, মাথায় মোটা ঢাকনি।
তবে বিচ্ছিন্ন এই শহরের বাসিন্দারা হিমাঙ্কের নীচে থাকা তাপমাত্রায় অভ্যস্থ হয়ে উঠেছেন। যদিও জানুয়ারিতে অতিরিক্ত ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে এবং শরীর গরম রাখার জন্য গায়ে বাড়তি গরম পোশাক চাপান।
পৃথিবীর শীতলতম আরেক বাসিন্দা নুরগুসুম স্টারোস্টিনা, যিনি একটি বাজারে শুঁটকি মাছ বিক্রি করেন, জানালেন এই ভয়ঙ্কর ঠান্ডাকে কব্জা করতে বিশেষ কোনও গোপন ব্যাপার নেই। শুধু গায়ে চাপাতে হয় একটার পর একটা শীতের পোশাক, ঠিক যেমন বাঁধা কপির মতো। একটার পর একটা গরম পোশাকের স্তর। তিনি অবশ্য মাছ রেখে দেওয়ার জন্য কোনও ফ্রিজ বা ফ্রিজার রাখেন না। আসলে গোটা শহরটাই যে আস্ত একটা ফ্রিজার।