মহানগর ডেস্কঃ ছোট থেকে বড়ো প্রত্যেকেই দোলের দিন রঙ খেলায় মেতে ওঠেন। বাড়ির বড়দের পায়ে আবির ছুঁইয়ে শুরু হয় দোল উদযাপনের সূচনা পর্ব। তারপর বাড়ির সকলের সাথে চলে রঙ খেলার পর্ব। গালে আবির ছোঁয়ানো থেকে শুরু করে, রং গুলে বন্ধুদের সেই রঙের জলে স্নান করানোর একটা আলাদাই মজা। সবার মনে চলে রঙের ফোয়ারা। প্রত্যেকেই দোলের বা হোলির দিন নিজেদের রাঙিয়ে নিতে ব্যস্ত থাকেন। তবে রঙের উৎসবে রং খেলার সময় তাতে শুধু ভেসে গেলেই চলবে না, কিছু সতর্কতাও অবলম্বন করা জরুরি বা খেয়াল রাখা উচিত। সবচেয়ে বেশি সাবধানে থাকতে হবে চোখের ব্যাপারে। সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করেই রং খেলা জরুরি। যাতে এই খুশির উৎসব মাটিতে না মিশে যায়।
রং খেলার সময় একটু হলেও চোখে রং ঢুকে যায় বা চোখের ভিতর রং ঢুকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকেই। একটু আবির ছোঁয়াবো বলে বন্ধুরা রং মাখিয়ে পুরো ভূত করে দেয়। সেই সময় চোখের ভিতর রং ঢুকে গেলে বিপদ। বিশেষ করে যারা ছোট তাদের চোখে রং ঢুকে গেলে আরও বড় সমস্যা। রং এক বার চোখে ঢুকলে সকলের জন্যেই তা ক্ষতিকারক। কিন্তু ভাবছেন দোলের দিনে চোখের খেয়াল কিভাবে রাখবেন? চোখে রং ঢুকলে কি করবেন?
চিকিৎসকের মতে, ‘‘ দোল বা হোলির দিন সকলে রং খেলায় মেতে থাকেন, কিন্তু রং খেলার দিন চোখ নিয়ে বাড়তি সাবধানতা মেনে চলা জরুরি। প্রায় সব রঙেই রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত থাকে। তা এক বার চোখে ঢুকে গেলে কেমিক্যাল অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস হওয়ার ভয় থাকে। চোখ চুলকায়, জ্বালা করে, চোখ থেকে অনবরত জলও পড়ে। এমন হলে একেবারেই চোখ রগড়ানো যাবে না। তাতে সমস্যা আরও বাড়বে। এমন সময়ে ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে, জল দিয়ে চোখ ধুলে রং বেরিয়ে আসবে। তবে গরম জল কিংবা ফ্রিজের ঠান্ডা জল দিলে কিন্তু হবে না। জোরে জোরে জলের ঝাপ্টা দিতে থাকেন, তা করবেন না। জল দিয়ে ধীরে সুস্থে চোখ ধুয়ে নিন। যদি পরের দিন এক বার কোনও চোখের চিকিৎসককে দেখিয়ে নিতে পারেন আরও ভালো হবে। চোখে কোনও অস্বস্তি না থাকলেও তা করা উচিত। যেহেতু চোখের ভিতর রং ঢুকেছে। চোখ অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ফলে কোনও সমস্যা হলে তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। তাই চিকিৎসককে দেখানোই একমাত্র উপায়।’’
দোলের দিনে সবাই মেতে থাকুন, একে অপরকে রং মাখান, একসাথে খাওয়া দাওয়া করুন, আনন্দ উপভোগ করুন, তবে নিজের আর অপরের সুরক্ষা বজায় রাখার চেষ্টা করুন। সকলের দোল আনন্দে ভরে উঠুক। জীবন হোক রঙীন।