মহানগর ডেস্ক: যাকে বলে রীতিমতো রাজার হালে দিন কাটানো। খাওয়াদাওয়াও রাজার মতো। টানা দুবছর (Guest Stayed Two Years Without Paying) এমন রাজকীয় হালে থেকেও এক টাকাও ঠেকাননি নয়া দিল্লির পাঁচতারা হোটেলকে (Five Star Hotel In Delhi)। এ নিয়ে সেই অবাঞ্ছিত রাজকীয় অতিথিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে।
নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এয়ারোসিটির পাঁচতারা হোটেল রোসেট হাউসে ওই অবাঞ্ছিত অতিথিদের বিল হয়েছে আটান্ন লক্ষ টাকা। টাকা না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ আইজিআই এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। এফআইআরে জানানো হয়েছে হোটেলে অঙ্কুশ দত্ত মোট ছশো তিনদিন ওই পাঁচতারা হোটেলে রয়েছেন। বিল হয়েছে আটান্ন লক্ষ টাকা।
একটাকাও দেননি তিনি। হোটেলের ফ্রন্ট অফিসের প্রধান প্রেম প্রকাশ, যার ওপর রুমের ভাড়া,কম্পিউটরে রুম ভাড়ার বিল ট্র্যাক করার দায়িত্ব রয়েছেন,তিনি নিয়ম ভেঙে অভিযুক্তকে দীর্ঘদিন থাকার অনুমতি দিয়েছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ,প্রেম প্রকাশ হোটেলের সফটওয়ার সিস্টেমে কারচুপি করে দীর্ঘদিন ধরে থাকার ব্যবস্থা করে ওই অবাঞ্ছিত অতিথির কাছ থেকে কিছু টাকা পেয়েছেন।
এফআইআরে জানানো হয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষের আরও সন্দেহ হোটেলের কয়েকজন চেনা ও অচেনা কর্মী ও প্রেমপ্রকাশের সঙ্গে যোগসাজশ করে হোটেলকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে অভিযুক্ত অঙ্কুশ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করেছেন। ষড়যন্ত্র করতে হোটেল কর্মীরা অ্যাকাউন্ট এন্ট্রিতে কারচুপি,বাদ দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট এন্ট্রি জুড়ে বিপুল সংখ্যক এন্ট্রি নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে।
অপেরা সফটওয়ার সিস্টেমে অঙ্কুশ দত্তের অ্যাকাউন্টে বড় মাপের কারচুপির প্রমাণ মিলেছে। ২০১৯ সালের তিরিশে অভিযুক্ত হোটেলের একটি রুম এক রাতের জন্য বুক করেন। পরের দিন তাঁর হোটেল ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে তিনি ২০২১ সালের বাইশে জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলে থেকে যান। হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনও অতিথি বাহাত্তর ঘণ্টার বেশি হোটেলে থাকে,তাহলে তা সিইও ও ফিনান্সিয়াল কন্ট্রোলারের নজরে আনত হবে এবং তাঁদের নির্দেশের অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু প্রেম প্রকাশ সিইও ও ফিনান্সিয়াল কন্ট্রোলারের নজরে বিষয়টি আনেননি।