HomeNationalKota Suicide: রাজস্থানের কোটায় হোস্টেলের ঘরে ঘরে বদলানো হচ্ছে সিলিং ফ্যান,কেন?

Kota Suicide: রাজস্থানের কোটায় হোস্টেলের ঘরে ঘরে বদলানো হচ্ছে সিলিং ফ্যান,কেন?

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: একে একে বদলানো হচ্ছে ঘরের সিলিং ফ্যান। আগের মতো আর শক্ত, কঠিন এবং ভারী কিছু ঝুললেও একইরকম থাকবে না। খুলেই পড়ে যাবে সিলিং ফ্যানগুলি। কারণ এর আগে এইসব হোস্টেলের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ফাঁস দিয়ে ঝুলে শেষ করে দিয়েছেন নিজেদের সম্ভাবনাময় জীবন। এক বছরে আত্মঘাতী কুড়ি জন। বাবা মা প্রিয়জনদের চোখের জলে ভাসিয়ে তাঁরা চিরকালের মতো বিদায় জানিয়েছেন সবাইককে।

রাজস্থানের কোটায় এনট্রান্স পরীক্ষার কোচিং হাবে সেই বিষাদমেশা দুঃখজনক মৃত্যুর হিড়িক রুখতে অদ্ভুত এক পন্থা নেওয়া হয়েছে। পড়ুয়ারা যাতে সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করতে না পারে, সেজন্য বদলানো হচ্ছে সিলিং ফ্যানগুলি। এখন আগের মতো সিলং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়লেও কিছু হবে না। তার আগেই ফ্যান খুলে পড়ে যাবে। যদিও এমন পন্থা নিয়ে রীতিমতো পরিহাস করে সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজাররা লিখেছেন পাখা বদলে কিছু হবে না।

তাঁদের কথায়, পড়ুয়াদের মনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তাঁদের মন সুস্থ করে তুললেই তবে সমস্যা দূর হবে। তার আগে নয়। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে সেদিকে নজর দেওয়া। সংবাদসংস্থা জানিয়েছে. সমস্ত হোস্টেল ও পেয়িং গেস্ট অ্যাকমোডেশনে স্প্রিং লাগানো সিলিং ফ্যান লাগানো হয়েছে, যাতে ছাত্রদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা আর না ঘটে।

মঙ্গলবার আঠেরো বছরের এক তরুণ ভাড়া করা বাড়িতে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। এ মাসে কোটায় মোট চারজন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছে। পরপর মৃত্যু মিছিলে উদ্বিগ্ন কোটা প্রশাসন এ ধরণের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রশাসন পড়ুয়াদের মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়নে জোর দিয়েছে।

 

Most Popular