মহানগর ডেস্ক: প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি! আরবান ব্যাঙ্কের SE SEC ECR Employees Cooperative Credit Society LTD)-এর উদ্যোগে ২০১০ সালের পর ২০১৫ সালে আরবান ব্যাঙ্ক প্রতিনিধি নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর তদানীন্তন ম্যনেজমেন্ট প্রতিনিধি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তবে ওই মেয়াদোত্তীর্ণ বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হওয়ার পরে মহামান্য নিম্ন আদালত থেকে নির্বাচন বন্ধের আদেশ দিয়েছে।
কিন্তু আদালত সেই আদেশকে খারিজ না করে আরবান ব্যাঙ্ককে বেআইনি কাজের আরও সুযোগ করে দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ রেলকর্মচারিরা এই ব্যাঙ্কের শেয়ার হোল্ডার। তাই রেলপ্রশাসন বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে এই ব্যাঙ্কের তদারকিতে। তাই এই বিষয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার, ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান, ফলতঃ রেলপ্রশাসন ব্যাঙ্কের কাজকর্মের উপর নজরদারি রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, South Eastern Railway Mazdoor Union র তরফ থেকে বহুবার ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে সমস্ত ঘটনা অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু রেল প্রশাসন ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সম্প্রতি মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালত ছয়মাসের মধ্যে প্রতিনিধি নির্বাচন করানোর আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু তা আজও কার্যকর হয়নি।
২০১৫ সাল থেকে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে নিয়োগ চলছে। তদারকি ম্যানেজমেন্ট যখন কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, সেখানে তদারকি ম্যানেজমেন্ট একেরপর এক নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে। আগের চিফ ম্যানেজারের অবসরের সময় একবছর পিছিয়ে দেওয়া, শোনা যাচ্ছে আবার বর্তমান চিফ ম্যানেজারের অবসরের সময় পিছিয়ে দুবছর বাড়ানো হচ্ছে। তবে বহুবার বলা সত্ত্বেও রেলপ্রশাসন শূণ্যপদ পূরণের কোনো রকমভাবে আন্তরিক নয়। সমস্ত ক্যাটাগরিতে প্রচুর শূণ্য পদ দীর্ঘদিন পূরণ না হয়ে পরে আছে। ফলতঃ কম সংখ্যক লোক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। ৯ই নভেম্বর ২০২৩ নিমপুরা ইয়ার্ডে ডিরেলমেন্ট (DERAILMENT) জনিত একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তবে ওই দুর্ঘটনায় রেল বা প্রাণ কারুর কোনও ক্ষতি হয়নি। কোনও রকম তদন্ত ছাড়াই রেলের কালা আইন ১৪(২) প্রয়োগ করে তিনজন কে, শ্রী হাবু মুর্মু,- সি এল আই, শ্রী ভি রবি কুমার- এল পি গুডস, নিমপুরা এবং শ্রী মনদীপ টিগ্গা, এল পি এস নিমপুরাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে বিদায় জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এরা কোনো অর্থকরী সুবিধা পাচ্ছে না।
তদন্ত না করে এই ভাবে চাকরি কেড়ে নেওয়ার বিরোধীতা হওয়া উচিত। এই সমস্ত বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আগামী ১৪ ই ডিসেম্বর ২০২৩ বেলা ১১:০০ টা থেকে বিকাল ৫:০০ টা পর্যন্ত দ: পূ: রেলের সদরদপ্তরে ধর্ণায় বসা হয়েছিল।যেখানে বক্তব্য রেখেছিলেন, শ্রী দীপঙ্কর রায়, কম: সুব্রত মুখার্জি, পি কে মহাপাত্র, কম: স্নেহাশীষ চট্টোপাধ্যায়, কম: সঞ্চিতা চন্দ, কম: অঞ্জন বসু, নীরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী সভাপতি শুভাশীষ বাগচী (সাধারণ সম্পাদক সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে মজদুর ইউনিয়ন। গার্ডেন রিচ)।