মহানগর ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশন (Special Session Controversy) নিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে শাসক বিজেপির আক্রমণের পাল্টা হিসেবে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথ বেছে নিল কংগ্রেস। সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি নিয়ে গোপনীয়তা ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় ধীরে ধীরে দানা বাঁধতে শুরু করেছে সঙ্ঘাতের আবহ। যে সঙ্ঘাত বিশেষ অধিবেশন নিয়ে কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দেওয়ার পরই নতুন মোড় নিতে চলেছে।
কেন্দ্র সোনিয়াকে সাফ জানিয়েছে বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি বা সম্ভাব্য আলোচনা নিয়ে বিরোধীদের জানানোর কোনও পরম্পরা বা ইতিহাস নেই। আর তারপরই কংগ্রেসের তরফ থেকে ধেয়ে এসেছে সমালোচনার ঝড়। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ এ নিয়ে সবিস্তারে বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে সঙ্ঘাতের পটভূমিকে জোরদার করেছেন।
এক্সে (পূর্বতন টুইটার) রমেশ বিশেষ অধিবেশনের নটি পয়েন্ট এবং দুই কক্ষে তা নিয়ে বৈঠকের বিবরণ দিয়েছেন,যেখানে আলোচ্যসূচি দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার ছিল। এর আগে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস অন্তঃসারশূন্য একটি বিষয়কে ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে। তারই জবাবে এক্সে প্রায় গর্জে ওঠেন রমেশ। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে যোশি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে লিখেছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস অকিঞ্চিতকর বিষয়কে ইস্যু করার চেষ্টা করছে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে।
পাল্টা কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। রীতিমতো আক্রমণ শানিয়ে রমেশ জানিয়েছেন একমাত্র মোদী সরকারই ক্রমাগত সংসদকে অশ্রদ্ধা করে আসছে এবং সংসদের ঐতিহ্যের অবমাননা করে চলেছে তারা। রমেশ লিখেছেন বিজেপি-সহ আগের সরকারগুলি একাধিক অধিবেশন ডেকেছিল।
সংবিধান দিবস,কুইট ইন্ডিয়া ও অন্যান্য বিষয়ে ডাকা অধিবেশনের বিষয় আগেভাগে জানানো হতো। গতকাল সকালের দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রীদের ভারত-ইন্ডিয়া বিতর্ক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে বিদেশি নেতাদের আমন্ত্রণ পত্রে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রেসিডন্ট অব ভারত উল্লেখ করা হয়। এরপর ইন্দোনেশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান নিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত বলে লেখা হয়। তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। যে বিতর্কে এই মুহূর্তে যুযুধান শাসক বিজেপি ও কংগ্রেস।