মহানগর ডেস্ক : এসএসসি মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়ে যাবে আর কিছুক্ষণের মধ্যে। আজ সোমবার, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি। । সোমবার শীর্ষ আদালত শুনবে এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ আজ এই মামলা শুনবে। গত সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি খারিজ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের পরে সুপ্রিম কোর্টে উঠছে এসএসসি মামলা। শীর্ষ আদালতে কী ঘটে, সে দিকে নজর মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষের। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে চাকরিহারারাও।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের ওই রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে মামলা করে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। আইনজীবী মহলের খবর, রাজ্যের হয়ে দাঁড়াতে পারেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল। আইনজীবী মুকুল রোহতগি সওয়াল করতে পারেন চাকরিহারাদের হয়ে। সিবিআইয়ের হয়ে লড়বেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল বা এসজি তুষার মেহতা। দুপুর ১২টা নাগাদ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি ওঠার কথা।
মূল মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের এই প্রসঙ্গে জানান , “২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও নিয়মই মানা হয়নি। আদালতের নজরে একাধিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতি তো হয়েছেই। তাই পুরো প্যানেল বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে হাই কোর্ট। এমনকি বার বার বলা সত্ত্বেও যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা দেয়নি এসএসসি। ফলে অনেক যোগ্য ব্যক্তির চাকরি চলে যায়। আশা করছি, সুপ্রিম কোর্টেও ওই রায় বহাল থাকবে।” বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের আইনজীবী পার্থসারথি দেববর্মণ বলেন, “মামলার বাইরে গিয়ে রায় হয়েছে। মূল মামলাকারীরা পুরো প্যানেল বাতিলের আবেদন জানাননি। ফলে সমস্ত চাকরি বাতিল, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তা ছাড়া এই মামলায় শীর্ষ আদালত আগে যে সব নির্দেশ দিয়েছিল, বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ সেগুলিকে গুরুত্ব দেয়নি। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়েও একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। আমরা আপাতত হাই কোর্টের রায় স্থগিত রাখার আর্জি জানাব।”
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যাওয়ার এই রায় মানতে পারেন না বলে দাবি করে এই চাকরি যাওয়ার দায় বিজেপি ও সিপিএম-এর উপর চাপিয়েছেন। আবার তিনি বলেছেন, সবটা আমি দেখি না, এসএসসি, আলাদা আলাদা দফতর দেখে।