মহানগর ডেস্ক: য়েস মাত্র পনেরো। বয়েসের বিচারে নাবালিকাই বটে। যে বয়েসে স্কুলের পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিক পাস করে থাকে,সেই বয়েসে ইতিহাস গড়ে স্নাতক হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে তুনিস্কা সুজিত (Youngest Graduate In India)। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বিস্ময় কিশোরী এই বয়েসে দেবী আহিল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্স থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে । বিষয় ছিল সাইকোলজি। ৭৪.৪ শতাংশ পেয়ে প্রথম বিভাগে পাস করার আগে তেরো বছর বয়েসে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করেছিল তুনিস্কা।
দশম শ্রেণির পরীক্ষাতেও প্রথম শ্রেণি পায় ইন্দোরের পনেরো বছরের বিস্ময় কিশোরী। সংবাদমাধ্যমকে তুনিস্কাকে জানায় সে সাইকোলজিতে প্রথম বিভাগে দেবী আহিল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্স থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে। সে আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে পড়তে চায় এবং ব্রিটেন বা আমেরিকায় ডক্টর অব জুরিসপ্রুডেন্স পড়ারও স্বপ্ন দেখে সে। ডক্টর অব জুরিসপ্রুডেন্স হল আইনে স্নাতকস্তরে পেশাদার ডিগ্রি। ভারতে এই কোর্স পড়ানো হয় না।
পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সে সাধারণ ছাত্রীদের মতোই পড়াশোনা করতো। এগারো বছর বয়েসে তুনিস্কা সরাসরি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দেয়। ভারতে সেই প্রথম এই বয়েসে পরীক্ষা দেয়। এজন্য রাজ্যপাল আমাদের অনুরোধে স্কুল শিক্ষা বিভাগের নিয়ম বদলে দেন। আর সে পনেরো বছর বয়েসেই স্নাতক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাস করে।
গত পয়লা এপ্রিলে ভোপালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্সে এলে তুনিস্কা তাঁর সঙ্গে দেখা করে। পনেরো মিনিট কথা হয় তাদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীকে তুনিস্কা জানিয়েছিল বিএ পরীক্ষায় পাস করে সে ব্রিটেন বা আমেরিকায় পড়তে যেতে চায়। একদিন দেশের প্রধান বিচারপতি হতে চায় বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানায় সে। মোদী
তাকে উৎসাহ দেন বলে তুনিস্কা জানায়। কোভিডে বাবাকে হারানো তুনিস্কার চোখ বিরাট স্বপ্ন থাকলেও আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করার চেষ্টা করছে সে। ইন্দোরের বিজেপি সাংসদের কাছে তার জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা জানিয়েছে তুনিস্কা। এখন দেখা যাক বিস্ময় কিশোরীর স্বপ্ন কতটা সফল হয়।