মহানগর ডেস্ক: বাকি বিশ্বের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিতে ভারত যখন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন এ দেশে এখনও এমন কিছু বাস্তব ঘটনা রয়েছে যা আমাদের লজ্জায় মাথা নুইয়ে দেয়। যেমন গুজরাত। ইতিমধ্যেই সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছে তারা। সেই রাজ্যের গ্রামেই রয়েছে এমন এক ঘটনা, যা এক নিমেষে সব কিছুকে লজ্জায় মাটিতে মিশিয়ে দেয়। গুজরাতের ওয়াদিয়া গ্রাম (Wadia Village Of Gujarat)। এই গ্রামে প্রাচীন কাল থেকে মহিলারা পতিতাবৃত্তি করে সংসারের ভরণ পোষণ করে আসছে। মেয়েরা যখন পতিতাবৃত্তি করে সংসারের ভরণপোষণ করে চলেছে,তখন পরিবারের পুরুষেরা সেখানে মধুর খোঁজে আসা লোকজনদের পতিতা জোগাড় করে দিতে দালালের কাজ করে রোজগার করে থাকে। শতকের পর শতক ধরে এই রীতি চলে আসছে।
এ গ্রামের সবাই মহিলারাই এই পেশায় যুক্ত। তবে নানাভাবে এই আদিম পেশা বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। মেয়েদের মধ্যে শিক্ষা, গণ বিবাহের ব্যবস্থা করে এই প্রথা বন্ধ করার চেষ্টা করলেও তা কাজে আসেনি। মধ্যপ্রদেশের গ্রামেও রয়েছে এরকমই এক প্রথা। এখানকার গ্রামে বাছারা সম্প্রদায়ের মধ্যে আদিম পেশা চালিয়ে সংসারের ভরণপোষণ করার প্রধা চালু রয়েছে। বাছারা সম্প্রদায়ের মাতৃতান্ত্রিক প্রথা চালু রয়েছে। বাড়ির কর্তা কিন্তু পুরুষ নয়। মা বা মহিলা। সংসারের ভরণপোষণ করতে পরিবারের বড় মেয়ে পতিতাবৃত্তি করে থাকে। বাবা ও ভাইয়েরা দালাল হিসেবে খদ্দেরদের সঙ্গে দরাদরি করে থাকে। তারাই কথা বলে খদ্দের ঠিক করে। ছোট্ট সম্প্রদায়ে সামাজিক চাপ সত্ত্বেও পরিবারের মেয়েরা এখনও এই পেশা চালিয়ে শুধু নিজেদেরই নয়, পরিবারের দেখভাল করে থাকে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের নাটপুরোয়া গ্রাম। এই গ্রামে নাট সম্প্রদায়ের মানুষেরা থাকে। পরিবারের অন্ন সংস্থান ঘটে আদিম পেশার সাহায্যে। চারশো বছর ধরে পাঁচ হাজার মানুষের এই গ্রামে মহিলারা সংসারের প্রধান এবং তাঁরা পতিতাবৃত্তি করে আসছেন শয়ে শয়ে বছর। পরিবারের মূল উপার্জন পতিতাবৃত্তি। ছেলেমেয়েরা তথাকথিত মায়ের সঙ্গে থাকলেও তাদের বাবা কে, তা জানে না। এখানে স্কুল চালু হলেও পুরুষদের উদাসীনতায় এই আদিম পেশায় রোজগারের ঐতিহ্য এখনও অটুট রয়েছে।