মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডিকে সাথে নিয়ে বিজেপি ঢুকেছে। কোনও নারী নির্যাতন সন্দেশখালিতে হয়নি। নারী নির্যাতনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। বুধবার বীরভূম থেকে এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, “ইডিকে সাথে নিয়ে সন্দেশখালিতে বিজেপি ঢুকেছে। সন্দেশখালিতে কোনও নারী নির্যতনের ঘটনা ঘটেনি। আমি এখনও সুতো ছাড়ছি। পুলিশকে বলেছি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে। চোপরায় ওরা কটা দল পাঠিয়েছে?”
মুখ্যমন্ত্রী যখন সন্দেশখালির বিষয়ে এই মন্তব্য করছেন তখন তাঁরই প্রশাসনের পুলিশ কিন্তু সন্দেশখালির মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাকে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। তাই বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কে ঠিক? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না তাঁর পুলিশ? যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী! রবিবার শিবপ্রসাদ হাজরাকে যখন থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন স্থানীয় বাসীন্দারা চোর,চোর স্লোগান দিয়ে শিবু হাজরাকে নিয়ে যাওয়া পুলিশের গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে। এমন কি শিবুকে গ্রেফতারে উচ্ছ্বসিত সন্দেশখালির জনতা রবিবার জিলিপি বিলি করেছে।
তবে এদিনই সন্দেশখালি গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সুজিত বসু, পার্থ ভৌমিক এবং সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। টোটো করে তাঁরা সন্দেশখালির ১৪৪ ধারা নেই এমন জায়গায় পৌঁছন, কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেন সাধারণ মানুষের মনের কথা। সুজিত বসু বলেন, “সন্দেশখালির ১৬টি ব্লকের মধ্যে ৩/৪টি ব্লকে এই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এসব বিরোধীরা করছে। সারা সন্দেশখালির এটা চিত্র নয়।” এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্দেশখালি প্রসঙ্গে “নারী নির্যাতন হয়নি” বলার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেনে বুঝে মিথ্যে কথা বলছেন।”