HomePoliticsকেসিআরের হ্যাট্রিক রুখতে ময়দানে কংগ্রেস-বিজেপি, আজ রায় দিতে তেলঙ্গানায় বুথে বুথে ভোটাররা

কেসিআরের হ্যাট্রিক রুখতে ময়দানে কংগ্রেস-বিজেপি, আজ রায় দিতে তেলঙ্গানায় বুথে বুথে ভোটাররা

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: তেলঙ্গানায় কেসিআরের হ্যাট্রিক আটকাতে বদ্ধ পরিকর যুযুধান কংগ্রেস আর বিজেপি। শেষ হাসি কে হাসবে, এই মুহূর্তে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।  চব্বিশের লোকসভা ভোটের সেমিফাইনালে কর্ণাটকের পর তেলঙ্গনাতেও কি হতাশ হতে হবে বিজেপিকে? দাক্ষিণাত্যের কোনও রাজ্যেও সরকার না থাকা পদ্মশিবির কি এবারও ব্যর্থ হবে। নাকি কর্ণাটকের মতো এই রাজ্যেও সরকার গড়বে কংগ্রেস। এমন আবহের মধ্যেই আজ ভোটযুদ্ধে দুই দলের সঙ্গে পাঞ্জা কষতে ভোটারদের রায় জানতে আসরে কেসিআরের বিআরএস। এই লড়াইয়ে একমাত্র জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে হাতিয়ার করে পরপর তিনবার ভোটে জিততে রাজ্যের মানুষের ভোট প্রার্থী কেসিআরের দল।

এদিন সকালেই বুথে এসে ভোট দিয়ে গিয়েছেন পুষ্পা খ্যাত আল্লু অর্জুন,চিরঞ্জীবী এবং ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন.যিনি এবার জুবিলি হিল থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। সাত সকালেই ভোট দিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্যশাখার প্রধান জি কিষান রেড্ডি। ভোট দিয়েছেন বিআরএসের বিধায়ক কে কবিতা, যাঁকে দিল্লি আবগারি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ভোট প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবারের ভোটে রেকর্ড ছাড়ানোর জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এবারের ভোটে বিজেপির প্রচারাভিযানে প্রধান ভূমিকা নেওয়া মোদী তেলঙ্গনায় গণতন্ত্রের উৎসবকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভোটগ্রহণ শুরুর আগে এক্সে প্রধানমন্ত্রী লেখেন তিনি তেলঙ্গনার তরুণ এবং প্রথম যাঁরা ভোট দেবেন তাঁদের ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। ভোট দেন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর হায়দ্রাবাদের নবীন নগরের বুথে ভোট দেন। ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আলাদা হয় তেলঙ্গানা। সেসময় থেকেই বিধানসভা ভোটে জিতে এসেছে বিআরএস। কেসিআরের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পই ভোটগুলিতে উতরোতে সাহায্য করেছে। কামারেড্ডিতে ইভিএম বিকল হওয়ায় তিরিশ মিনিট ভোটদান বন্ধ থাকে। এবারের ভোটে তেলঙ্গনা দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। তারা প্রতিবেশি রাজ্য কর্ণাটক দখলের পর রীতিমতো উজ্জীবিত। সে রাজ্যে তারা বিজেপিকে উৎখাত করে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন বিআরএস এনডিএতে জায়গা পাওয়ার জন্য দরবার করেছিল। আর সেটাকেই সামনে এনে কেসিআর তথা বিআরএসের দ্বিচারিতাকে ভোটের লড়াইয়ে ফ্যাক্টর হিসেবে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়েছে।

এটাকেই বড় অ্যাডভান্টেজ বলেই মনে করছে কংগ্রেস। অন্যদিকে দাক্ষিণাত্যের কোনও রাজ্যে সরকার না থাকা বিজেপি তেলঙ্গনায় দলের প্রধানকে সরিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়েছে। এখন দেখার সামাজিক উন্নয়নকে মূলধন করে বিআরএস ফের কুর্সি দখল করতে পারে কিনা, না কর্ণাটকের মতো তেলঙ্গানাতেও কংগ্রেস সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টিতে সক্ষম হতে পারে কিনা অথবা মোদী ম্যাজিকে বিজেপি বিআরএসকে সরিয়ে সরকার গড়তে পারে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

Most Popular