মহানগর ডেস্ক: দাম কুড়ি টাকা। দেখলেই মনে হয় কামড়ে খেয়ে নিই। বাচ্চারা পেলে কোনও কথাই নেই। চকোলেটগুলোকে দেখলে মনে হবে একেবারে নির্ভেজাল একটা ব্যাপার। যেমন স্বাদ,তেমনই মিষ্টি। এমন চকোলেট পেলে বাচ্চারা আর কি চায়। কিন্তু আপাত নিরীহ চকোলেটগুলোর মধ্যে লুকিয়ে আছে অশুভ অভিসন্ধি(Marijuana Laced Chocolates)।
দোকানদারের কাছ থেকে কিনে মনের সুখে দিব্যি খেয়ে যাচ্ছিল বাচ্চারা। তবে কিছুদিন পরে চকোলেট খাওয়া বাচ্চাদের আচরণ অন্যরকম হতে শুরু করে। তারা বারবার ওই চকোলেট খাওয়ার জন্য বাবা-মাকে উত্যক্ত করতে আরম্ভ করে। এসব দেখে কয়েকজন অভিভাবক ম্যাঙ্গালুরুর পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। এরপরই পুলিশ হানা দেয় দুটি দোকানে। সেখান থেকে মোট ১২০ কেজি মাদক মেশানো চকোলেট আটক করে। একটি দোকান থেক ৮৫ কেজি, অন্য দোকান থেকে ৩৫ কেজি। গ্রেফতার করা হয় দুজন চকোলেট বিক্রেতাকে। তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে বাজেয়াপ্ত চকোলেটগুলির ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্টে জানানো হয়েছে চকোলেটগুলিতে মারিজুয়ানা মেশানো রয়েছে।
চকোলেটগুলি উত্তর ভারত থেকে ওই দুই বিক্রেতা সংগ্রহ করেছিল। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ থেকে। দোকানের মালিক ও বাকিদের ভূমিকা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে ওই মারিজুয়ানা মেশানো চকোলেট বিক্রি করা দোকানের মালিককে ম্যাঙ্গালুরু উত্তর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেকজনকে ম্যাঙ্গালুরু দক্ষিণ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ম্যাঙ্গালুরুর মতো রাইচুর থেকেও মাদক মেশানো চকোলেট বিক্রির অভিযোগ পাওয়ার পর সেখানকার দোকানগুলিতে হানা দিয়ে চকোলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের ধারণা এর পেছনে বড়সড় চক্র জড়িত রয়েছে। চক্রের মূল হোতা ও অন্যান্যদের গ্রেফতারের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এ ধরণের মাদক মেশানো চকোলেট বিক্রি উদ্বেগজনক। এই প্রবণতা বড় ধরণের বিপদ ডেকে আনতে পারে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. এস মুজাহিজ হোসেন জানিয়েছেন, একবার এই চকোলেটে শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়লে, তা থেকে তাদের মুক্ত করা ভীষণ মুশকিল। কারণ শিশুদের স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা তাদের স্বাদ কোরক দ্বারা পরিচালিত হয়। যা খেতে ভালো লাগে তাই তারা খায়। বাবা-মায়েদের উচিত সন্তানেরা কী খাচ্ছে, সেদিকে ভালোভাবে নজর রাখা। তারা কী খাবে, সে ব্যাপারেও নজর দিতে হবে।