মহানগর ডেস্ক : পাখির চোখে উত্তরবঙ্গ। যখন দাবদাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গে, সেই সময় উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদিয়ায় মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে প্রথম সভা করেন মমতা। তারপর জলপাইগুড়িতে দুর্যোগের খবর পেয়েই ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সভা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। সব মিলিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দু দলই একচুলও জমি ছাড়তে নারাজ একে অপরকে।
শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের সভায় ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টানেন সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। সন্দেশখালির ঘটার পর কেন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যাননি সেই নিয়ে আজও সুর চড়ায় বিরোধীরা। এবার মোদীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে তৃণমূল নেত্রী বললেন, সন্দেশখালি, সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রাম নয়। এদিনও মঞ্চ থেকে কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে খুনি ও গুন্ডা বলে আক্রমণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে মমতা বলেন, ”আপনি কালকে বলে গেছেন, আমার লড়াই সন্দেশখালি আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আমি আপনাকে বলি, সন্দেশখালি সিঙ্গুরও নয়, নন্দীগ্রামও নয়। কিছু ঘটনা লোকালি ঘটেছে। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের পুলিশই গ্রেফতার করেছে। এবং তাদের যে টুকু জায়গা জমির প্রবলেম ছিল আমরা সব ফিরিয়ে দিয়েছি। আমরা কোনও রকম মানুষের সঙ্গে অবিচার করতে দিই না।”
আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইকের সমর্থনে জনসভায় মমতার মুখে শোনা যায় কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের নামও। সুর চড়িয়ে মমতা এদিন বলেন, ”তিনি না কি আবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি সবাইকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে বেড়ান। আমরা বলি নিজের আয়নায় মুখ দেখো আগে। চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। আমরা তাকে কুচবিহার থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। সে খুন করত, দাঙ্গা করত, জনগণের টাকা মারত, বোম মারত, অনেক কিছু পাচার করত। তার বিরুদ্ধে কত কেস আছে সব আমার কাছে লেখা আছে। এত কেস থাকলে কেউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারে?”