HomeBengalপ্রলোভনের কাছে নতিস্বীকার! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সুদীপ রাহা

প্রলোভনের কাছে নতিস্বীকার! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সুদীপ রাহা

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক : দেবাংশুর পর সুদীপ রাহা। এক্সে পোস্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। তীব্র কটাক্ষের সুরে বিচারপতর বিরুদ্ধে চেয়ারের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের ছাত্র নেতা। তার নিরপেক্ষতা নিয়েও তুলেছেন প্রশ্ন। সুদীপের কথায়, পুরো ব্যাপারটা পুরো বিচার বিভাগকে খারাপভাবে প্রতিফলিত করে। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর দেওয়া প্রতিটি আদেশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা পর্যালোচনা করা হোক বলেও দাবি তুলেছেন সুদীপ।এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে সুদীপ রাহা লিখেছেন, ”কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক অভিজিৎ গাঙ্গুলী ইচ্ছাকৃত বিচারিক অসদাচরণে অভিযুক্ত, অবশেষে প্রলোভনের কাছে নতিস্বীকার করেছেন এবং হতাশার একটি কাজ করে তিনি ঘোষণা করেছেন যে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন!

এটা আবারও তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ প্রমাণ করে!”তবে কটাক্ষের এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তার চাঞ্চল্যকর এবং মানহানিকর কটাক্ষ ও বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে তার পক্ষপাতমূলক আদেশের মাধ্যমে বিচারকের চেয়ারের অপব্যবহার করে একটি টিকিট নিশ্চিত করেছেন বলেও তীব্র কটাক্ষ করেন সুদীপ। আদেশ পাশ করার আড়ালে বিচারপতি বারবার বাংলার বিরোধী দলগুলোর প্রতি অনুগ্রহ দেখিয়েছেন বলেও নিশানা করেন এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে।

২০১২ সালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির একটি মন্তব্য স্মরণ করে সুদীপ লেখেন, ২০১২ সালে জেটলি বলেছিলেন, “অবসরের পূর্ববর্তী বিচারকরা অবসর-পরবর্তী চাকরির আকাঙ্ক্ষা দ্বারা প্রভাবিত হন। অবসর-পরবর্তী চাকরি বিচারিক রায়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়।” নীতিন গড়কড়ি বলেছিলেন, “অবসরের (বিচারকদের) পরে ২ বছরের জন্য, নিয়োগের আগে ২ বছরের ব্যবধান থাকা উচিত অন্যথায় সরকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আদালতকে প্রভাবিত করতে পারে এবং দেশে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের স্বপ্ন কখনই বাস্তবায়িত হবে না! ” দুজনের মন্তব্যের পরই সুদীপ লিখেছেন, ”পুরো ব্যাপারটা পুরো বিচার বিভাগকে খারাপভাবে প্রতিফলিত করে! আমরা দাবি করি যে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর দেওয়া প্রতিটি আদেশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা পর্যালোচনা করা হোক এবং স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা এবং নিরপেক্ষতার দায়িত্ব লঙ্ঘনের জন্য তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হোক! নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বিজেপির শাসনে ভারতীয় বিচার বিভাগকে এমনই ছোট করা হয়েছে, যেখানে একজন বিচারক নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার টিকিটে চোখ রেখে আদেশ ।”v

Most Popular