মহানগর ডেস্ক :এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার হওয়ায় উত্তেজনা ছড়াল মালদহের ইংরেজবাজারে। একদিনেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিল এই স্কুল ছাত্রী। মৃতদেহটি উদ্ধার হয় ইংরেজবাজারের আমবাজার এলাকার একটি ঝোপ থেকে। জানা গিয়েছে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত এই ছাত্রী । মাত্র পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে এতো নৃশংসভাবে কেন খুন করা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সুত্র অনুযায়ী খবর এই নাবালিকা গত ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিল । নাবালিকা এই ছাত্রীর বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। নাবালিকা কে অপহরণ করা হয়, এমনটাই অভিযোগ উঠছে। পরিবার বলছে তারা পুলিসকে জানিয়ে ছিল এই বিষয় নিয়ে । কিন্তু শেষমেশ বুধবার গভীর রাতে, ওই ছাত্রীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় পুলিস ফাঁড়ির কাছাকাছি একটি জায়গা থেকে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শারীরিক নির্যাতন করেই খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে একটি সিসিটিভির ফুটেজ। এই ফুটেজ দেখে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ । মৃত ছাত্রীর কাকা উমেশ কেশরি বলেন, সকাল থেকেই ভাইঝিকে খোঁজাখুঁজি করছিলাম খুঁজে পাইনি । আমাদের এখানে সঞ্জয় কেশরির ছেলের গোডাউন রয়েছে, ওখানেই মৃতদেহ দেখলাম, ভালোভাবে দেখতে পাইনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নির্যাতনের উদ্দেশ্যেই পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত৷ পরিচিত হওয়ায় বালিকা তাকে চিনে ফেলার কারণেই নৃশংস ভাবে তাকে খুন করে ওই যুবক৷
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার গভীর রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকা জুড়ে ৷ অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ঘেরাও করে এলাকার উতক্ত মানুষজন। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও উঠছে। পাশাপাশি থানায় গিয়েও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবারের লোকজন। ছাত্রীর কাকার বক্তব্য অনুযায়ী, ওকে অপহরণ করা হয়েছিল, তারপর এমন নৃশংস খুন। খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ওই নিহত বালিকার প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ বালিকার দেহ উদ্ধারের কথা ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়৷ ওই বালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তার খোঁজে তদন্ত শুরু করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷ সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে প্রথমে সন্দেহভাজন ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ৷ তখনই খুনের কথা স্বীকার করে সে৷