HomeWorldMystery Lake In Nigeria: এই হ্রদে ডুব দিলে পঙ্গুরা ফিরে পান চলার...

Mystery Lake In Nigeria: এই হ্রদে ডুব দিলে পঙ্গুরা ফিরে পান চলার ক্ষমতা, সেরে যায় রোগ ব্যাধি, নাইজেরিয়ার এই অলৌকিক জলাশয়ে ছুটে আসেন কাতারে কাতারে মানুষ

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: হ্রদে ডুব দিলে পঙ্গুরা নাকি চলার শক্তি ফিরে পায়। দৃষ্টিহীনেরা দৃষ্টি ফিরে পায়।  এ রকমই একটি হ্রদের (Mystery Lake In Nigeria) খোঁজ মিলেছে আফ্রিকার নাইজেরিয়ায়। হ্রদে ডুব দিলে জটিল রোগব্যাধি নাকি নিমেষে সেরে যায়। এমনকী সন্তানহীনা মহিলারা সন্তানের মা হন। এরকম আরও অনেক ঘটনা রয়েছে সেই অলৌকিক হ্রদ নিয়ে। তবে এর কতটা সত্যি বা কতটা কল্পনা কিংবা গুজব এ নিয়ে কিন্তু বিতর্ক রয়েছে।

যদিও সত্যিমিথ্যে যাই থাক, ওই রহস্যময় হ্রদ নিয়ে কাহিনি উপকথার মতো তা ছড়িয়ে আছে গোটা নাইজেরিয়ায়। আরোগ্য বা ফল লাভের আশায় সেখানে ছুটে আসেন বহু মানুষ। চলে স্নান করা নিয়ে হুড়োহুড়ি। নাইজেরিয়ার এনুগুতে একটি কৃষিজমি ছিল। সেটি গত আশি বছরে তিন তিনবার হ্রদে রূপান্তরিত হয়। । যদিও সেটা নোংরা জলে ভরা। কিন্তু তা পরোয়া না করে খিটকেল অসুখ,নানা শারীরিক সমস্যা বা আরও জটিল ব্যাধি দূর করার জন্য ডাক্তার ছেড়ে এখানে ডুব দেন দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষ। ২০১৩ সালে চাষের জমিটি হঠাৎ হ্রদে রূপান্তরিত হয়। তীর্থযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সেখানে ছুটে যান। ১৯৯২ সালে হ্রদটি জেগে উঠে আবার মিলিয়ে যায়।

হ্রদের নোংরা জলে শুধু বুড়োবুড়িরাই নয়। ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতে অল্পবয়েসিরাও এখানে এসে স্নান করে গিয়েছে। তবে কী লাভ হয়েছে, সেটা জানা যায়নি। যদিও এই রহস্যময় হ্রদ নিয়ে জনশ্রুতিকে খুব একটা পাত্তা দিতে চায়নি সরকার। বরং বিপর্যয়, মহামারির আশঙ্কার কথাই তারা বলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন হ্রদের অলৌকিক জলের কথা কেন বলা হচ্ছে তিনি জানেন না। তবে একজন খ্রিস্টান হিসেবে তিনি কখনও বলতে চান না যারা ও
খানে যাচ্ছে তারা কিছু ফল পাবে না। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, যা হচ্ছে সেটা মোটেই ঠিক নয়। মানুষ সেখানে স্নান যেমন করছে, তেমনই পায়খানা,মূত্রত্যাগ করছে।

রোগব্যাধির সমস্ত জিনিসই ওখানে রয়েছে। তবু মানুষ ওই নোংরা জল খাচ্ছে। এতে মহাবিপর্যয়ের আশঙ্কা শুধু সময়ের অপেক্ষা। হ্রদে স্নান করা থেকে সেখানকার নোংরা জল খাওয়া নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার জন্য এখানকার বিজ্ঞানমনস্ক লিও ইগয়ে একাধিকবার খুনের হুমকিও পেয়েছেন।

তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, নানচিতে মহামারি রোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তারপর থেকেই তিনি হুমকি পাচ্ছেন। তবে যতই সরকারি স্তরে বা বিজ্ঞানমনস্ক মানুষেরা এনিয়ে আওয়াজ তুলুন। নাইজেরিয়ার বহু মানুষের মন থেকে এই হ্রদের অলৌকিক মহিমাকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে চেষ্টা চলছে।

 

Most Popular