HomeNationalমহিলা সংরক্ষণ বিলে সমর্থন মায়াবতীর, ভাষণে আবেগপ্রবণ সোনিয়া

মহিলা সংরক্ষণ বিলে সমর্থন মায়াবতীর, ভাষণে আবেগপ্রবণ সোনিয়া

- Advertisement -

নয়াদিল্লি: মহিলা সংরক্ষণ বিলে সমর্থন জানালেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি। আলাদা করে এসি এসটি ওবিসিদের জন্যেও সংরক্ষণের দাবিও জানালেন তিনি। এদিন সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সোনিয়া। তিনি বলেন, আমার স্বামী প্রথমবার মহিলাদের সংসদে প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আগ্রহী হন। তিনি প্রথম এই আইনে সংশোধনী আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেন। তিনি আরও বলেন, নারী সংরক্ষণ বিলের বাস্তবায়ণে দেরি হলে ভারতের নারীদের প্রতি অবিচার হবে। এই প্রসঙ্গে তফশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য আসন সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি। মহিলাদের সংরক্ষণের জন্য এই বিল আগেই লোকসভায় এনেছিলেন রাজীব গান্ধী। কিন্তু রাজ্যসভায় ৭ ভোটে পরাজয়ের ফলে তা পাশ করা সম্ভব হয়নি। রাজীবের স্বপ্ন সার্থক হবে এই বিল পাশ হলে, সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। এর আগে মহিলা সংরক্ষণ বিলে অসমর্থন জানালেও বুধবার সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিলে সমর্থন জানিয়েছেন মায়াবতী। মঙ্গলবার মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন লোকসভায় তুমুল বাক্ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সরকার বিরোধী ২পক্ষের সাংসদরাই। বুধবারও সেই বিতর্ক বজায় ছিল লোকসভায়।

অধীরের দাবি ঘিরে জল্পনা, নয়া সংবিধান নতুন সংসদ ভবনে

কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ২০১০ সালে সংসদের উচ্চকক্ষে পাশ হওয়া মহিলা সংরক্ষণ বিল নয় বরং সেই বিল অনেকটাই পরিবর্তন করে নতুন করে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিলটি লোকসভায় পেশ করেন আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। লোকসভায় বৃহত্তম দল কংগ্রেসের সংসদ তথা পরিষদীয় নেতা অধীর চৌধুরী জানান, এই বিল মনমোহন সিং-এর আমলেই পাশ হয়ে গেছিল। পাল্টা অধীরের বক্তব্যের বিরোধীতা করে অমিত শাহ বলেন, সেই সরকার আর নেই। বিলের মেয়াদও ফুরিয়ে গেছে। বিলটি নতুনভাবে পেশ করা হয়েছে। এরপরেই শুরু হয় তর্কাতর্কি। মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের দুই কক্ষই। বুধবার সেই উত্তাপ বজায় ছিল। প্রসঙ্গত, রবিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে নিয়মমাফিক সংবিধানের ১২৮ ধারা সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। যদিও প্রথামাফিক বিল পেশের সময় খসড়া প্রতিলিপি সংসদে দেওয়া হয়নি। এমনকি মঙ্গলবার বিলটি নিয়ে যে আলোচনা হবে সেই প্রসঙ্গেও কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা।

Most Popular