মহানগর ডেস্ক: জীবন্ত অবস্থায় কেউ সমাধিতে যেতে পারেন। সেটা কি সম্ভব ? এমন এক ঘটনার কথা জানা গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুরে। সেখানে গ্রামবাসীদের দিয়ে গর্ত খুঁড়ে এক পুরোহিতের তাতে সমাধিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ছত্তরপুরের সিদ্ধা বাবা মন্দিরের ষাট বছরের পূজারি বাবা নারায়ণ দাস কুশোওয়া সিদ্ধান্ত নেন তিনি জীবন্ত সমাধিস্থ হবেন (Priest Tried to Go Samadhi)। সেইমতো গ্রামবাসীদের জানিয়েছিলেন ছ ফুট গভীর, দশ ফুট লম্বা ও দু ফুট চওড়া গর্ত খুঁড়তে। তাঁর কথা অনুযায়ী গ্রামবাসীরা গর্ত খোঁড়েন। তারপর সেই গর্তে নেমে শুয়ে পড়েন ওই পুরোহিত। গ্রামবাসীদের জানান তিনি সমাধিতে যাচ্ছেন। তাঁরা যেন তাঁর দেহের ওপর মাটি ঢেলে দেন।
গ্রামবাসীরা তাঁর কথামতো পুরোহিতের গায়ে মাটি ফেলেন। কুশোওয়ার দেহের ওপর ধাতুর প্লেটও দেওয়া হয়। সমাধিতে যাওয়ার আগে পুরোহিত তাদের জানান তাঁরা যেন কদিন পর গর্তটি খোলেন। মাটি পুরো ঢেকে দেওয়ার পর উঁচু ঢিবির ওপর গ্রামবাসীরা মাটির পাঁচটি হাঁড়ি ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখেন। যদিও পুরোহিতের এমন জীবন্ত সমাধি প্রশাসনের কান এড়ায়নি। খবর পাওয়ার পরেই তহশিলদার ও পুলিশের দল আসে সেখানে।
তারা গর্ত খুঁড়ে সমাধিস্থ পুরোহিতের বের করে আনেন। তখনও তিনি জীবিত ছিলেন। তারপর তাঁকে সোজা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে পূজারি কেন এমন জীবন্ত সমাধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা জানা যায়নি। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরোহিতের জীবন্ত সমাধির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দেয়। লোকমুখে এ নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তবে প্রশাসন মৃত্যুর হাত থেকে পুরোহিতকে বাঁচাতে পেরে স্বস্তির শ্বাস ফেলে।