মহানগর ডেস্ক: কোনও পুরুষ কিংবা মহিলাও নন। তিনি বিয়ে করেছিলেন নিজেকেই। গুজরাতের ক্ষমা বিন্দুকে হয়তো অনেকেরই মনে থাকতে পারে। কারণ ভারতে তিনিই প্রথম আবহমানের প্রথা ভেঙে চমকে দেওয়া ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন, যা প্রায় সবার কাছেই নতুন। নিজের কপালে সিঁদূর নিজেই পরিয়েছিলেন (Woman Married Herself)। পাত্রের বদলে গলায় মালা পরিয়েছিলেন নিজেই।
নিজের সঙ্গে সাত পাঁকে বাঁধা পড়েছিলেন তিনি। সেই প্রথাগত নিয়ম উড়িয়ে নিজেকে বিয়ে করা ক্ষমা বিন্দু ফের খবরের শিরোনামে। নিজের বিয়ের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের ভিডিও নিজেই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন (Sologamy)।
সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ক্ষমা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে তাঁর নিজেকে বিয়ে করার বর্ষপূর্তির খবর জানিয়েছেন। ভিডিওয় ক্ষমা লিখেছেন হ্যাপি প্রথম বর্যপূর্তি। সেইসঙ্গে নিজের উত্তেজনার লাগাম টানতে পারেননি তিনি। ক্ষমার এই নিজেকে বিয়ের বর্ষপূর্তি অনেকেরই নজর কেড়েছে। সেইসঙ্গে অনেকেরই ভ্রূকুঞ্চন দেখা দিয়েছে। কারণ তাঁর নিজেকে ভালোবাসা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত ইচ্ছেপূরণের সাহসী সিদ্ধান্তে শুরুতেই বিতর্ক দেখা দিয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত এবং বর্ষপূর্তির ঘটনা শেয়ার করে যাঁরা তাঁর এই সিদ্ধান্তকে পছন্দ করেন, তাঁরা তাঁদের নিজেদের সুখকেই অগ্রাধিকার দেবেন বলে মনে করেন ক্ষমা। তাঁর ধারণা তাঁর এই জীবন-সফর অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে।
নিজেকে বিয়ের বর্যপূর্তি নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে একটি শক্তিশালী উপায় বলেই মনে করেন তিনি। তাঁর ধারণা একজনের সঙ্গে একজনের সম্পর্ক সমান তাৎপর্যপূর্ণ এবং তা স্বীকৃতি ও পালন করার যোগ্যতা রাখে। অভিনব বিয়ের সুবাদে খবরের শিরোনামে আসা ক্ষমা ক্ষমতায়ন ও আত্ম-প্রেমের প্রতীক হয়ে ওঠার পাশাপাশি অনেক মহিলার কাছে বিশেষ এক বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। ইনস্টাগ্রাম পোস্ট নিয়ে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট এসেছে। শুভেচ্ছার পাশাপাশি তাঁর দীর্ঘজীবন কামনা করেছেন অনেক ইউজার।