মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালিতে শেষ পর্যন্ত সরকার কী ব্যাকফুটে চলে গেল? ন হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় শেখ শাহজাহানকে ক্লিনচিট দেওয়ার পর পুলিশ কেন শিবু হাজরাকে গ্রেফতার করবে? কেন শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং খুনের পরিকল্পনার ধারা দেওয়া হবে? কেনই বা সন্দেশখালিতে সমস্যা সুরাহার জন্য ক্যাম্প করতে বাধ্য হচ্ছে?
কেন গ্রামবাসীদের চাপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মীদের কেনই বা ক্যাম্পে বসিয়ে সুরাহার ব্যবস্থা করছে। তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সন্দেশখালির গ্রামবাসীদের অভিযোগ মেনে নিচ্ছে? না কি এটা লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার হওয়ার জন্য তৃণমূলের কৌশল! এই প্রশ্নই চারিদিকে। এদিকে সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো এখনও দাবি করে চলেছেন, “শিবপ্রসাদ হাজরাকে মিথ্যা ধারায় ফাঁসানো হয়েছে। গণধর্ষণের ধারায় তাকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই অভিযোগ সত্য নয়।” আবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেছেন, “ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দীতে এক মহিলা শিবু এবং উত্তমের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছে।”
এদিকে কুণাল ঘোষ, যিনি তৃণমূল মুখপাত্র, তিনি বলেছেন, “শিবু হাজরার নামে গণধর্ষণের অভিযোগ বিরোধীরা করেছে। অভিযোগ মানেই এটা নয় যে শিবু হাজরা দোষী!” তাহলে একটা প্রশ্ন খুব স্বাভাবিক ভাবেই এসে যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সবাই যখন বলছেন চেখ শাহজাহান, শিবু, উত্তমের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ সাজানো, বহিরাগতদের অভিযোগ, তাহলে কেন তৃণমূল প্রশাসন শেখ শাহজাহান, তার সাগরেদ শিবু এবং উত্তমের বিরুদ্ধে জোর করে জমি নেওয়ার অভিযোগের পর জমি ফেরত, টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সমস্যা সুরাহা ক্যাম্প করছে?