মহানগর ডেস্ক: মা-বাবা যতই বয়স্ক হোক, ছেলেমেয়ের কাছে কখনও পরিত্যজ্য হয় না। যাঁরা তাঁকে মানুষ করেছেন অনেক কষ্ট করে, তাঁদের ভুলতে পারেন না। সন্তানরা যতই ব্যস্ত থাকুক, বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা-মাকে ত্যাগ করে যান না। তবে ইদানীং এর ব্যতিক্রম চোখে পড়ে। আজকের আধুনিক জীবনে মাঝেমাঝেই এমন হৃদয়হীনতার ছবি আমাদের ব্যথিত করে তোলে। বয়স্ক-মা-বাবা মায়ের ওপর ভালোবাসার বদলে বিপরীত অনুভূতি কাজ করে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বয়স্ক মা বাবার ওপর নির্যাতন চালায় সন্তানরা। এমন ঘটনাও বিরল নয়। তবে মা বাবা যতই বৃদ্ধ হোন না কেন, এখনও অনেকেই তাঁদের বাঁচানোর জন্য জীবনকে তুচ্ছ করতে পিছপা হন না।
শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন ধরে গিয়েছিল ধীরেন শাহ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে। ছেলেকে সর্বগ্রাসী আগুনের গ্রাস থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য সবাই বলতে থাকেন। কিন্তু সদ্য হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়া মা বিছানায় শয্যাশায়ী। তাঁকে সর্বগ্রাসী আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচানো যাবে না। আর দাউদাউ আগুনের মধ্যে ফিরে যাওয়ার একটাই পরিষ্কার অর্থ-সাক্ষাৎ মৃত্যু। কিন্তু আগুন থেকে ফিরে আসতে চায়নি ছেলে। পরে আশি বছরের মা ও ষাট বছরের ছেলের পোড়া দেহ মেলে ওই অগ্নিদগ্ধ বাড়ি থেকে। জানা গিয়েছে ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মা-ছেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অসুস্থ,বৃদ্ধা মায়ের প্রতি ছেলের ভালোবাসা তাঁকে সর্বনাশা আগুন থেকে আলাদা করতে পারেনি। শেষ মিনিট পর্যন্ত মায়ের সঙ্গেই ছিল ছেলে। শনিবার গিরগাওয়ে শতকের প্রাচীনতম ভবন জেতাভাই গোবিন্দজী ভবনে ওই ঘটনাটি ঘটে। শনিবার বিকেলে শর্ট সার্কটের ফলে কাঠের সিঁড়িতে আগুন ধরে যায়। আগুন ঘরের ভেতর ঢুকে যায়। তারপর ধ্বংসলীলা শুরু করে। রাত নটার সময় আগুন বিধ্বংসী রূপ নেয়।